বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
বিটরুটের যত গুণ ।
বাজারে গেলে আকর্ষণীয় বিট দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। এমন সুন্দর রঙের ফল বা সবজি খুব কম ই রয়েছে। বিটরুট বাংলাদেশি সবজি নয় তবু বাংলাদেশের বাজারে সবজির দোকানে সারা বছরই পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট খেতেন।
বিটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ফাইবার ছাড়াও মিলবে প্রচুর ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন আর ভিটামিন সি। চাইলে বিট খেতে পারেন কাঁচা সালাদ হিসেবে অথবা সেদ্ধ বা রান্না করে। অনেকে অবশ্য বিটের জুস খেয়ে থাকেন। বিটে কিন্তু গ্লুকোজ আর ফ্রুকটোজ পরিমাণ বেশি। তাই জুস খেলে আলাদাভাবে চিনি যোগ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এবং যাদের রক্তে শর্করার মাত্রাধিক্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারা খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
বিটের পাতাতেও আছে ভিটামিন এ আর ক্যারোটিনয়েড। সেই সঙ্গে থাকে লুয়েটিন নামক অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। এর প্রত্যেকটিই ফ্রি র্যাডিকালসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যকর ও টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন নতুন কোষের উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন, ভিটামিন এ এই প্রক্রিয়াটিকে সুনিশ্চিত করে। ভিটামিন সি-এর ফলে কোলাজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বিট কতটা উপকারি তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনারা।
আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ক্রমশ কমতে আরম্ভ করবে। তাই শীতকালে অন্তত রোজের খাদ্যতালিকায় বিট রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। এই সবজি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জোগান দেয়, তাই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে অনেকেই মনে করেন।
বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-টিউমার গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়।
নিয়মিত বিটের জুস খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। বিটের পলিটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান ক্যানসারে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানটির জন্যই বিটের রঙ এত গাড় লাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিটের জুড়ি নেই।
সূত্র: ফেমিনা