শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
৩১ সয্যা বিশিষ্ট ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবলসংকটে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।প্রতিদিন অতিরিক্ত রোগীর চাপসামলাতে হিমসীম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ফলে দুরদুরান্ত থেকে সেবা নিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারন রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করনীক তথ্যে জানা গেছে, ৩১ সয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক ১৫০ টি পদ থাকলেও ৫৩ পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। প্রথম শ্রেনির ১৫ টি পদ শূন্য না থাকলেও অন্যান্য পদে লোকবল না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
দীর্ঘ দিন অফিস সহকারী না থাকায় হেলথ ইন্সপেক্টও ও হারবাল এজিস্ট্যান্ট দিয়ে করানো হচ্ছে অফিসিয়াল কাজকর্ম। স্টোর কিপার, সহকারী সেবকপদে কেউ না থাকায় বাধ্য হয়ে মালী-গার্ডদের দিয়েই এসব করাতে হচ্ছে । এভাবে লোকবল না থাকায় এক পদেরকাজ অন্য পদের লোক দিয়ে করানো হচ্ছে।যার ফলে অনেক কার্যক্রমেও দেখা দিচ্ছে স্থবিরতা।
দ্বিতীয় শ্রেনির ৩১ টি পদ থাকলেও শুন্য রয়েছে ১৭ টি পদ।নার্সিং সুপারভাইজারের ২ টি পদই শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। এছাড়াও সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫ জনের স্থলে আছে মাত্র ১০ জন! যার ফলে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদেরও প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
তৃতীয় শ্রেনির ৮৫ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছে ৫৬ জন। স্বাস্থ্য সহকারীর ৩২ পদের বিপরীতে জনবল আছেন ২৪ জন। স্যাকমোর সাত পদের মধ্যে ৬টিই শুন্য, মেডিকেল টেকনোলজিস্টেও ৬ পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন। ফার্মাসিষ্ট ২ জনের মধ্যে একটি শুন্য, অফিস সহকারীর ৩ জনের মধ্যে কেউ কর্মরত নেই। স্টোর কিপার, সহকারী সেবক পদ অনেক দিন ধরে শুন্য আছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি পদই শুন্য, সিএইচসিপি ১টি পদ শুন্য।
এছাড়াও চতুর্থ শ্রেনির ১৯ জনের মধ্যে আটটি পদই শুণ্য। অফিসসহায়ক, ওয়ার্ডবয় ও কুক পদে ২টি করে শুন্য রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মি আছে ৫ জনের মধ্যে আছে চারজন।