শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সুচ ছাড়া টিকা কথা চিন্তায় করা যায় না সম্প্রতি চিকিৎসকরা এমনই টিকা নিয়ে এল যা নাকে দেওয়া হল । একটি পাউডার টিকা সম্পর্কে এমনটিই বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এই টিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে। সুইডেনের বিজ্ঞানীরা এ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করছেন। টিকা টি এখন ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী মাস বাংলাদেশে শুরু হবে ট্রায়াল।
ট্রায়াল সফল হলে বাংলাদেশ উৎপাদন মূল্যে টিকাটি কিনতে পারবে। এমনকি দেশেও এই টিকা উৎপাদন করতে পারবে। জাতির পিতার নাম অনুসারে টিকাটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু আইএসআর’ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাস করা কয়েকজন ডাক্তার ও বিজ্ঞানী এই টিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। মানুষের ওপর ট্রায়ালের জন্য আইএসআর এই মাসের শুরুর দিকে কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন হিসেবে বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই টিকার ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের ১৮০ জন সুস্থ মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইঁদুরের ওপর পরিচালিত সুইডিশ এই টিকার ট্রায়ালের ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক। কার্যকারিতার হার শতভাগের কাছাকাছি। এইটি প্রথমবার নাকের সামনে রেখে নিঃশ্বাস নেওয়ার পর তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার একই কাজ করতে হবে। তাহলেই দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে যাবে।
আইএসআর এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওলা উইনকুইস্ট তাদের ওয়েবসাইটে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের শুরুতে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আমার সন্তোষজনক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা তৈরি ও বিতরণের জন্য আইএসআর ৬ জুলাই ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিমেড প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ইউনিট টিকা উৎপাদন করবে। তাদের লক্ষ্য পাঁচ বছরের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ইউনিট বা তার বেশি বার্ষিক উৎপাদন করা। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে দেশে এই টিকা উৎপাদন করতে পারবে।