মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আবারো ইসরায়েলী প্রতিপক্ষকে প্রত্যাখানঃ অলিম্পিক রূপ নিলো চেতনার মঞ্চে।

টোকিও অলিম্পিকে এ নিয়ে দু’বারের মতো প্রতিপক্ষের সাথে লড়তে অস্বীকৃতি। দুর্ভাগ্যবশত প্রতিবারই এ প্রত্যাখানের মুখোমুখি হয়েছেন ইসরায়েলী প্রতিযোগী তোহার বুতবুল, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুই যেখানে মুখ্য হয়ে ওঠেছে বারবার।

সারা বিশ্বব্যাপী অ্যাথলেটদের কাছে অলিম্পিক যেমন একটা আজীবরের লালিত স্বপ্ন, ঠিক তেমনি অনেকের কাছে তা হয়ে গেছে শুভ্র চেতনার বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবে। চেতনা হার মানিয়েছে বাস্তবতাকে আর চেতনাই যেনো সবকিছুর উর্ধ্বে।

আলজেরিয়ান অ্যাথলেট ফাতেহি নুরীন।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫শে জুলাই, ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জুডোতে ইসরায়েল প্রতিপক্ষ তোহার বুতবুলের বিপক্ষে খেলতে নামেননি আলজেরিয়ার ফেতাহি নুরীন। ঘটনায় ফাতেহি নুরীন শাস্তি হিসেবে সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছেন।

এসব কিছু জেনেও ২৪ ঘন্টা না ফুরোতেই আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন সুদানের আবদেল রাসুল। এবারো জুডোতেই ইসরায়েলী প্রতিযোগী তোহার বুতবুল বিপক্ষে খেলার চেয়ে যেনো নাম প্রত্যাহারকেই বেছে নিলেন তিনি। এ যেনো চেতনার কাছে বাস্তবতার পরাজয়।

আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে আলজেরিয়ার ফাতেহি নুরীন জানিয়েছেন, “অলিম্পিকে আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়টি সবকিছুর চেয়ে অনেক বড়”। সাথে জানিয়েছেন, তার এ সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তার সাথে গলা মেলালেন তার কোচ, বললেন, ” ড্রয়ের ভাগ্যটা ভালো হয় নি। একজন ইসরায়েলী প্রতিপক্ষ পেয়েছি এবং আমাদের সরে যেতে হলো। আমরা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি”।

ফাতেহি নুরীনের প্রতিবাদের সাক্ষ্য এবারই প্রথম নয়, গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ইসরায়েলী প্রতিযোগী এই তোহার বুতবুলকেই প্রত্যাখান করেছিলেন এই আলজেরিয়ান প্রতিযোগী।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুর দিকটা বরাবরই মুসলিমের চেতনার অংশ হিসেবে সামনে এসেছে। ইসরায়েলের আফগানিস্তান দখল ও হত্যাকান্ডে সারাবিশ্বের মুসলমানেরা প্রতিবাদ করেছেন মাঠে-ময়দানে, দাঁড়িয়েছেন রাজপথে আবার সবাইকে এক করেছে মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব হিসেবে। এবার হয়তো তেমনি প্রতিবাদের সাক্ষী হলো টোকিও অলিম্পিকের আলোছড়ানো মঞ্চ। এর চাইতে কি ভালো কোনো মঞ্চ পেতে পারতেন অ্যাথলেট ফাতেহি নুরীন কিংবা আবদেল রাসুল?

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১