বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলটি ইয়ার্কার লেংথে ফেললেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটার সামার জোসেফ এবার আর স্টাম্প বাঁচাতে পারলেন না। বোল্ড হয়ে গেলেন। উদ্যাপন হিসেবে উইকেটের ওপর সেজদা করলেন তাসকিন। ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার বলে কথা।
শেষ ব্যাটার কেমার রোচকেও ফেরালেন তিনি। ৩৩৩ রানের লিডে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৩৪ করলেই জয়ের স্বাদ পাবেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। সেটাও লম্বা সময় পর উইন্ডিজের মাটিতে।
অ্যান্টিয়াগোতে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানের ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তখনো ১৮১ রানে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক উইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের টপ অর্ডার। তাসকিন তোপে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ১৫২ রানে থেমেছে ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটদের দ্বিতীয় ইনিংস।
দিনের শুরুতে হোঁচট খায় উইন্ডিজ। দলীয় ২৫ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ওপেনার মিকাইল লুইসকে (৮) ফেরান তাসকিন। অবশ্য আগেই দুবার এ ব্যাটারকে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। একবার স্লিপে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপুর হাত ফসকে জীবন পান তিনি। দ্বিতীয়বার রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে থিতু হওয়ার আগেই তার ফেরা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির ছিল। নতুন ব্যাটার কিসি কার্টিকেও দ্রুতই ফেরান ডানহাতি এ পেসার।
এবার তৃতীয় স্লিপে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় আর ভুল করেননি। দারুণভাবেই ক্যাচটি লুফে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেন তারা। আরেক ওপেনার ক্রেগ ব্রাফেটকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফেরান পেসার শরিফুল। দলীয় ৩৯ রানে ফেরেন তিনি। পরের গল্পটা যেন তাসকিনের ছিল। স্বাগতিকদের প্রতিরোধ ভেঙে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। একে একে নেন ৬ উইকেট। এর আগে তৃতীয় দিনের শেষদিকে বাংলাদেশকে ফলোঅন থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল কিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিকের ফিফটি।