শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
আমাদের অনেকেরই মুখের ভিতর আলসার হয়ে থাকে। কখনো কামড় খেলে, কখনো দুর্ঘটনার জন্য বা কখনও আবার ঠাণ্ডা লেগে এমন আলসারের ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেক সময় র্যাশ থেকেও এই ধরনের আলসার হয়ে থাকে। আলসারের আকার খুব বড় হয়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। তবে ওষুধ ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায়ে মুখের আলসার দূর করা যায়।
১। বেকিং সোডা পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি যে কোনো জ্বালাভাব কমায়। আলসার হলে যেহেতু জ্বালাভাব থাকে অনেক বেশি, তাই বেকিং সোডার ব্যবহার এর থেকে মুক্তি দিতে পারে। বেকিং সোডা ও পানির একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে সেটি আলসারে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে জ্বালাভাব দূর হবে।
২। ত্বক ভালো রাখতে ও রান্নায় নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু অনেকেই হয় তো জানেন না এই তেল আলসার ভালো করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে বলে ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান জ্বালাভাব দূর করে ও ব্যথা কমায়। এক-দু ফোঁটা নারকেল তেল আলসারে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ধীরে ধীরে আলসার কমে যাবে।
৩। অ্যালুম পাউডার এতে অ্যাসট্রিনজেন্ট উপাদান থাকে, যা আলসার শুকাতে সাহায্য করে। সামান্য পানির সঙ্গে অ্যালুম পাউডার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এটি আলসারে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে।
৪। মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান থাকে। যা নারকেল তেলের মতোই জ্বালাভাব, ব্যথা ও লালচে ভাব কমায়। আলসারে এক ফোঁটা মধু লাগিয়ে রাখলেও আলসার ভালো হয়ে যেতে পারে।
এসব ছাড়াও আলসার হলে হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে তা দিয়ে গার্গল করতে হবে। এতে আলসার শুকিয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।