বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নে বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখে বাধা দেন ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতা। এ সময় তার ওপর হামলা করা হয়। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খেকুয়ানি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবদল নেতা হলেন উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. মনির ঘরামী।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, গত ৭ নভেম্বর আমতলী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীর সবার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ১৫ হাজারের অধিক জনসমাবেশে একটি ঐতিহাসিক সভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তাই দেখে আজ সোমবার বিএনপির একটি ঈর্ষান্বিত মহল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকে আসা হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে আলাদা কর্মসূচি পালন করেন।
গুলিশাখালী বাজার থেকে আমতলী আসার সময় তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখতে পেয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিক বিশ্বাস বাধা দেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে যুবদল নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এতে হামলায় দলটির যুবদল নেতা আহত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানভীর শাহরিয়ার বলেন, আহতের কপালে, গালে, কাঁধের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন।
জানতে চাইলে যুবদল নেতা মো. মনির ঘরামী বলেন, গুলিশাখালী বাজারে দুটি অটোতে কতিপয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কর্মী বিএনপির মিছিলে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আমি বাধা দিই। খবর পেয়ে কবির পঞ্চায়েত, শাহাবুব, আমিনুল, জুয়েলসহ দেড় থেকে দুইশ লোক আমার ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর তার দোসররা এখনও বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ করে দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মনির ঘরামীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ভিপি মামুন বলেন, সত্যি এটা দুঃখজনক! যুবনেতা মনির ঘরামী যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা। তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।