বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
তারেক রহমানের নতুন চিন্তাধারা দেশবাসীকে আলোড়িত করছে, একথা উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ও রাজনীতির পরিবর্তনের যে ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তা বহন করে ভিশন ২০৩০ ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ৩১ দফা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র গণ বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ ও ইতিবাচক গণ রাজনীতি উপহার দিতে চান। শহীদ জিয়ার উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির ধারায় তারেক রহমানের ইতিবাচক গণ রাজনীতি বৈষম্য বিহীন মানবিক ও গণতান্ত্রিক গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ।
এমরান সালেহ প্রিন্স আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় কৃষক দল ঘোষিত তিন মাস ব্যপী কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে কৃষক সমাবেশ ও সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বিএনপি নেতা আব্দুল হাই, কাজী ফরিদ আহমেদ বাবুল, মিজানুর রহমান মিজান,রফিকুল ইসলাম, মোরশেদ আলম, আলী, মাহমুদ,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মালেক,সদস্য মির্জা শাওন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল,যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক খালেদুজ্জামান আউলিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক,সহিদুল ইসলাম পারভেজ, উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা সারোয়ার হোসেন তায়েব, বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় নেতারা অহেতুক অধৈর্য্য হয়ে কিছু বক্তব্য দিচ্ছেন, যা ছাত্র গণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় অইক্যে ফাটল ধরাতে পারে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ শত ভাগ সফল ছিলো বলেই আওয়ামী লীগ বর্বর কায়দায় ভণ্ডুল করে দিতে চেয়েছে। সমাজের সকল স্তরের জনগণের উপস্থিতিতে ইতিহাসের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ ছিলো সেটি।
তিনি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করলে ১৪,১৮ বা ২৪ সালের নির্বাচনেই করতে পারতো। বিএনপি ঘৃনাভরে আওয়ামী লীগ বা তাদের প্রভু দেশের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলো। সমঝোতা করলে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী সাজায় বিনা বিচারে ২৫ মাস জেলে থাকতে হতো না,
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে পড়তে হতো না, তারেক রহমানকে নির্বাসিনে থাকতে হতো না,ফরমায়েশী রায়ে সাজা পেতে হতো না, বিএনপির ৬০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হতে হতো না, হত্যা-গুমের শিকার হতে হতো না।
আওয়ামী লীগ গণ হত্যাকারী, নিকৃস্ট ফ্যসিস্ট। তাদের সাথে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। বিএনপির সমঝোতা হবে জনগণের সাথে, বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী দলের সাথে। তাদের সাথে সমঝোতা করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে। তিনি বলেন,আওয়ামী লীগকে বিএনপি পুনর্বাসন নয়, বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। গণহত্যাকারী গণ শত্রুদের ক্ষমা নাই। বিএনপি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চায়,এমন প্রচারনা অপপ্রচারের নামান্তর। এটা ঠিক করার বিএনপি কে? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ ও আইন। তিনি বলেন, অন্য কেউ দেয়ার আগে তারেক রহমান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। অজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন,দুই বছর আগে তারা নিশ্চুপ ছিলো। তারেক রহমানের সংস্কার প্রস্তাব কেউ অস্বিকার করতে পারবে না।
তিনি অযথা বিতর্ক সৃস্টি না করে জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে দ্রুত অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষি ও কৃষকের কল্যানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবে। কৃষি উপকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও শ্রমিকের ন্যয্য মজুরী নিশ্চিত করবে। পল্লী রেশন, ফ্যমিলি কার্ড, সকলের জন্য শিক্ষা,স্বাস্থ্য,চিকিৎসা,কর্মসংস্থান, খাদ্য নিশ্চিত করবে এবং বেকার ভাতা দেবে।