বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

গুরুত্ব পেয়েছে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ইস্যু

গুরুত্ব পেয়েছে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ইস্যু

বড় জয় নিয়েই হোয়াইট হাউসের পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি ১৩২ বছরের ইতিহাস ভাঙলেন। প্রথম মেয়াদের পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। এর চার বছর পর নির্বাচন করে ১৮৯২ সালে তিনি জয়ী হন। এবার একই নজির গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব জনমত জরিপকে উড়িয়ে দিয়ে পেলেন ভূমিধস বিজয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সংখ্যক ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলেও গণতন্ত্র নিয়ে তারা হতাশার কথা জানিয়েছেন। একই উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন অর্থনীতি, বর্ণবাদ ও গর্ভপাত ইস্যুতে। বিশেষ করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে কমলা হ্যারিসের ওপর ভরসা করতে পারেননি অধিকাংশ ভোটার। ভোট শেষে বুথফেরত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে গণতন্ত্র আর অর্থনীতির অবস্থা। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের গুরুত্বের তালিকায় গণতন্ত্রকে শীর্ষে রেখেছেন। তারপরই স্থান পেয়েছে অর্থনীতি, বর্ণবাদ, গর্ভপাত, অভিবাসন এবং বৈদেশিক নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

অর্থনীতি ২০০৮ সাল থেকে প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হিসেবে থাকলেও এবার গণতন্ত্র সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। হ্যারিস সমর্থকদের প্রায় ৬০ শতাংশ গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। আর ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বেশি ছিল। ট্রাম্পের প্রায় ৫০ শতাংশ সমর্থক অর্থনীতিকে শীর্ষে রেখেছেন, যেখানে কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের মাত্র ১০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার বলেছেন, তারা গণতন্ত্র নিয়ে ‘অনেক’ বা ‘কিছুটা’ হুমকির আশঙ্কা করছেন। আর প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজন ভোটার নির্বাচনের ফল ঘিরে সহিংসতার বিষয়ে চিন্তিত। অন্যদিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার জাতীয় অর্থনীতির অবস্থা ‘খারাপ’ বলে মনে করেন, তবে এ সংখ্যা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যেই বেশি। ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ মনে করেন, তাদের আর্থিক অবস্থা ২০২০ সালের চেয়ে খারাপ হয়েছে। আর মাত্র ১০ শতাংশ মনে করেন তারা ভালো আছেন। অন্যদিকে, হ্যারিস সমর্থকদের মধ্যে চারজনের একজন মনে করেন তারা বর্তমানে ভালো অবস্থানে আছেন।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও দুই দলের সমর্থকদের মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকদের এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি তাদের পরিবারে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। আর হ্যারিস সমর্থকদের মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের প্রভাব অনুভব করেছেন।

এদিকে বর্ণভিত্তিক ভোটারের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও হ্যারিস কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন বেশি পেয়েছেন। হিস্পানিকদের মধ্যে হ্যারিস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও ২০২০ সালের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসের সমর্থন বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে, মধ্যবয়সী ভোটারদের অধিকাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন। ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে সমর্থন প্রায় সমান ভাগে বিভক্ত। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০