বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
প্রত্যেকটি মানুষের নিজের মনের মতো করে একটি বাড়ি নির্মাণ করার স্বপ্ন থাকে। সে বাড়ি ছোট হোক কিংবা বড় যাই হোক না কেনো। তবে বিশ্বে এমন কিছু বাড়ি আছে যা প্রসাদকেও হার মানাবে। ফোর্বস ইন্ডিয়া এমন ১০টি বাড়িরর তালিকা প্রকাশ করেছ, যা ঐতিহাসিক রাজকীয় বাড়ি থেকে শুরু করে আধুনিক স্থাপত্যের চমক।
তালিকায় জায়গা করে নেওয়া ১০টি বাড়ি হলো—বাকিংহাম প্যালেস, অ্যান্টিলিয়া, ভিলা লিওপোল্ডা, ভিলা লেস সেড্রেস, লেস পালাইস বুলস, দ্য ওডিয়ন টাওয়ার পেন্টহাউস, ফোর ফেয়ারফিল্ড পন্ড, ১৮-১৯ কেনসিংটন গার্ডেনস, বিয়ন্স অ্যান্ড জে-জেড মালিবু ম্যানশন ও এলিসন এস্টেট।
বাকিংহাম প্যালেস
এ তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। এর অবস্থান যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। বাড়িটি ব্রিটিশ রাজার আনুষ্ঠানিক বাসভবন ও প্রশাসনিক দপ্তর। ১৭০৫ সালে বাড়িটি নির্মান করা হয়।
এ বাড়িটি ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িটিতে আরও আছে নয়নাভিরাম বাগান ও বিখ্যাত ব্যালকনি। এ ব্যালেকনি রাজপরিবারের সদস্যদের দেখাস যায়। ভবনটির দাম ৪৯০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রায়)।
অ্যান্টিলিয়া
অ্যান্টিলিয়া অবস্থান ভারতের মুম্বাইয়ে। এটি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বাড়ি। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাড়িটি নির্মিত হয়েছে।
বিলাসবহুল এ বাড়ি ২৭তলা। যেখানে রয়েছে,৩টি হেলিপ্যাড, ১৬৮টি গাড়ির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি গ্যারেজ, কয়েকটি সুইমিংপুল, ১টি থিয়েটার ও ১টি স্নো রুম। বর্তমানে বাড়িটির দাম ২০০ কোটি ডলার।
ভিলা লিওপোল্ডা
বিলাসবহুল এ বাড়িটির অবস্থান ফ্রান্সের ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরাতে। এ বাড়িটি মূলত বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের। তার স্ত্রীর জন্য ভিলাটি তৈরি করা হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাড়িটিকে সামরিক হাসপাতাল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ১৯২০-এর দশকে মার্কিন স্থপতি ওগডেন কডম্যান জুনিয়র বাড়িটিকে ‘নিও প্যালাডিয়ান মাস্টারপিস’এ পরিণত করেন। বাড়িটির দাম ৭৫ কোটি ডলার।
ভিলা লেস সেড্রেস
ভিলা লেস সেড্রেসও ফ্রান্সের ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরাতে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড এটি অধিগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাড়িটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ভিলা লেস সেড্রেস। এটি ১৮৩০ সালের দিকে নির্মান করা হয়।
১৮ হাজার বর্গফুটের বাড়িটিতে আছে ১৪টি শোবার ঘর, ১টি বলরুম ও ১টি বিশাল গ্রন্থাগার, যেখানে বিরল অনেক বই পাওয়া যায়। এ বাড়িটির দাম ৪৫ কোটি ডলার।
লেস পালাইস বুলস
লেস পালাইস বুলস ফ্রান্সের কানে অবস্থিত। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে বাড়িটি নির্মান করা হয়। ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার এ বাড়িতে আছে একটি অভ্যর্থনা হল, ৫০০ আসনে একটি ছাদখোলা অ্যাম্ফিথিয়েটার, ১০টি শোবার ঘর, কয়েকটি সুইমিংপুল ও কৃত্রিম জলপ্রপাত। বাড়িতে ১০টি শোবার ঘর ও ১১টি শৌচাগার আছে। বিলাসবহুল বাড়িটির দাম ৪২ কোটি ডলার।
দ্য ওডিয়ন টাওয়ার পেন্টহাউস
দ্য ওডিয়ন টাওয়ার পেন্টহাউস এ বাড়ির অবস্থান মোনাকোতে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাড়িটি নির্মান করা হয়। বাড়িটিতে আছে ৫০০ আসনের ছাদখোলা অ্যাম্ফিথিয়েটার, ছাদের ওপর সুইমিংপুল। আরও আছে ব্যক্তিগত প্রেক্ষাগৃহ। বিলাসবহুল বাড়িটির দাম ৩৩ কোটি ডলার।
ফোর ফেয়ারফিল্ড পন্ড
ফোর ফেয়ারফিল্ড পন্ড এ বাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত।২০০৩ সালে এটি নির্মান করা হয়। বাড়িটি প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার বর্গফুটজুড়ে নির্মান করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে ২৯টি শোবার ঘর ও ৩৯টি শৌচাগার। একটি বোলিং অ্যালি, টেনিস কোর্ট ও কয়েকটি সুইমিংপুলও আছে সেখানে।
১৮-১৯ কেন সিং টন গার্ডেনস
লন্ডনে কেনসিংটন এলাকায় অবস্থিত ‘১৮-১৯ কেনসিংটন গার্ডেনস’এ বাড়িটি। এটি ১৮৪৭ সালে নির্মান করা হয়। বিলিয়নিয়ারস রো নামে পরিচিত বিশেষ এ সড়কে বিশ্বের কয়েকটি ব্যয়বহুল বাড়ি রয়েছে। এ সড়কে অনেকগুলো কূটনৈতিক মিশনের অবস্থান। বাড়িটির বর্তমান দাম রয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ ডলার।
বিয়ন্স অ্যান্ড জে-জেড মালিবু ম্যানশন
এ বাড়িটি বিখ্যাত দুই সংগীতজগতের আলোচিত ব্যক্তিদের নামে রাখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মালিবুতে তাদের এ বাড়িটির অবস্থান। বাড়িটির ঘর থেকেই প্রশান্ত মহাসাগরের সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বাড়িটি নির্মান করা হয়। বর্তমানে বাড়িটির মূল্য ২০ কোটি ডলার।
এলিসন এস্টেট
ওরাকল করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এ সম্পত্তির মালিক। বাড়িটির নির্মাণকাল ২০০৪ সাল। এর নকশা জাপানি ঢঙে করা। এলিসন স্টেটে কয়েকটি ভবন, বাগানসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত এ এস্টেটের দাম ২০ কোটি ডলার।