বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

তিন মাস পর মিলল রফতানির তথ্য…..

বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকারের শেষ দিকে রফতানির তথ্য নিয়ে বেশ লুকোচুরি হয়। একই সঙ্গে রফতানির তথ্যে গরমিল নিয়েও সমালোচনা হয়। কারণ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিবিএসের তথ্যে অনেক গরমিল দেখা দেয়। ফলে সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিন মাস রফতানির কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এসে তিন মাস পরই রফতানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করল ইপিবি। গতকাল বুধবার ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রফতানি আয় ৬.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৩.৫২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার। গতকাল অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে রফতানি আয় ৫.০৪ শতাংশ বেড়ে ১১.৩৭ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০.৮২ বিলিয়ন।ইপিবি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ৫.৪৩ শতাংশ বেড়ে ৯.২৮ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত বছরে ছিল ৮.৮১ বিলিয়ন। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক খাত ২.৭৮ বিলিয়ন আয় করেছে, যা ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওভেন পণ্য থেকে রফতানি আয় ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিট পণ্যের রফতানি আয় ৪.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬০ বিলিয়ন ডলারে।গত সেপ্টেম্বর মাসে কৃষিপণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯৭ মিলিয়ন ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৮২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ২১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৩২.৫০ শতাংশ বেশি।চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয় ১৮.৫৯ শতাংশ বেড়ে ৮২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ১৭.৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৬৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টর ৩৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। এ খাত থেকে রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫.৬৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রফতানি আয় কমেছে ২.০৫ শতাংশ এবং আয় করেছে ৬২ মিলিয়ন ডলার।এদিকে আগের সরকারের আমলে রফতানি আয় নিয়ে ওঠা বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না। সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা থেকে উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায় এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।রফতানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রফতানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপির হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রফতানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ইপিবি তার আগের মাসের রফতানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। গত অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ইপিবি রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রকৃত রফতানির পরিমাণ তার চেয়ে অন্তত ১০ ডলারেরও অধিক ফারাক। এ বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দেশের আর্থিক খাতের বিভিন্ন তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপর এখনও গত জুনের পর থেকে রফতানির তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছিল ইপিবি।

বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকারের শেষ দিকে রফতানির তথ্য নিয়ে বেশ লুকোচুরি হয়। একই সঙ্গে রফতানির তথ্যে গরমিল নিয়েও সমালোচনা হয়। কারণ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিবিএসের তথ্যে অনেক গরমিল দেখা দেয়। ফলে সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিন মাস রফতানির কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এসে তিন মাস পরই রফতানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করল ইপিবি। গতকাল বুধবার ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রফতানি আয় ৬.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৩.৫২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার। গতকাল অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে রফতানি আয় ৫.০৪ শতাংশ বেড়ে ১১.৩৭ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০.৮২ বিলিয়ন।ইপিবি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ৫.৪৩ শতাংশ বেড়ে ৯.২৮ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত বছরে ছিল ৮.৮১ বিলিয়ন। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক খাত ২.৭৮ বিলিয়ন আয় করেছে, যা ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওভেন পণ্য থেকে রফতানি আয় ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিট পণ্যের রফতানি আয় ৪.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬০ বিলিয়ন ডলারে।গত সেপ্টেম্বর মাসে কৃষিপণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯৭ মিলিয়ন ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৮২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ২১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৩২.৫০ শতাংশ বেশি।চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয় ১৮.৫৯ শতাংশ বেড়ে ৮২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ১৭.৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৬৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টর ৩৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। এ খাত থেকে রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫.৬৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রফতানি আয় কমেছে ২.০৫ শতাংশ এবং আয় করেছে ৬২ মিলিয়ন ডলার।এদিকে আগের সরকারের আমলে রফতানি আয় নিয়ে ওঠা বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না। সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা থেকে উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায় এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।রফতানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রফতানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপির হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রফতানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ইপিবি তার আগের মাসের রফতানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। গত অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ইপিবি রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রকৃত রফতানির পরিমাণ তার চেয়ে অন্তত ১০ ডলারেরও অধিক ফারাক। এ বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দেশের আর্থিক খাতের বিভিন্ন তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপর এখনও গত জুনের পর থেকে রফতানির তথ্য প্রকাশ বন্ধ রেখেছিল ইপিবি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০