বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্কুল শিক্ষিকা অপহরণের অভিযোগ!

পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্কুল শিক্ষিকা অপহরণের অভিযোগ!

মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্কুলে যাওয়ার পথে ইসরাত জাহান মৌসুমি নামে এক শিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল পৌনে ৯ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর ও পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের সংযোগ ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত শিক্ষকের বাবা গিয়াস উদ্দিন গলাচিপা থানায় দু’জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ। জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান মৌসুমি। তিনি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জানুয়ারি মাসে ওই স্কুলে যোগদান করেন।

এরপর থেকে পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহামুদ রাব্বি তাকে উত্যক্ত করে আসছিল।

এতে ওই শিক্ষকের সাড়া না পেয়ে রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে সংযোগ ব্রিজের ওপর রাব্বি ও তার আরেক সহযোগী স্থানীয় মনির দফাদারের ছেলে শিমুল (মোটরসাইকেল ড্রাইভার) মিলে ইসরাতের পথরোধ করে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার করলেও ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই রাব্বি ইসরাত জাহানকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারী রাব্বি।

ওই শিক্ষকের বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাইনি। তবে রাব্বির স্বজনরা মেয়ে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে বলে ঘুরাচ্ছে।এ বিষয়ে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রুজবেল্ট মিয়া বলেন, রাব্বি আমার পরিচিত কিন্তু কাছের কেউ নয়। তবে একবার আমার সাথে ওই স্কুলে গিয়েছিল। এছাড়া আর কিছুই নয়। তবে আমিও শিক্ষককে খুঁজছি।

এ ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি পিছনের গাড়িতে আসছিলাম। এসময় পথে আমাকে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা ঘটনাটি জানায়। পরে আমি জরুরি নম্বরে ৯৯৯ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের জানাই।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, আমার কাছে ওই শিক্ষকের বাবা স্থানীয় রাব্বি ও শিমুলের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন থানার বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০