বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে লাঞ্ছিত ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এ ঘটনা ঘটে।এসময় বাইরে কর্মরত রিপোর্টার ৯৯৯ কল করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। এটিএন বাংলার পঞ্চগড় প্রতিনিধি সিদ্ধার্থ কর্মকার ঘটনায় বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আটোয়ারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন-বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার রিপোর্টার সিদ্ধার্থ কর্মকার ও চ্যানেল এস এর রিপোর্টার আব্দুর রউফ।এর আগে অফিস চত্বরে ৫ জন সাংবাদিক উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান।আড়াল থেকে তার নির্দেশে সিদ্ধার্থ কর্মকার ও সাংবাদিক আব্দুর রউফের ওপর অতর্কিত হামলা করেন জিয়ারুল, নাসিরুল, গোলাম উদ্দিন,জাহেদুল, রুস্তম, মিনারুল, আব্দুলসহ সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুরের কতিপয় অনুসারীরা। এসময় একটি রুমে তাদের আটকে রেখে শারীরিক লাঞ্ছিত করা হয়।
অফিস চত্বরের বাইরে কর্মরত সময় টিভির রিপোর্টার বিষয়টি অবলোকন করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে।সাংবাদিক সিদ্ধার্থ কর্মকার ও আব্দুর রউফ বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি অবরুদ্ধ করে রাখে।দুর্নীতির খবর পেয়ে আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। তারা যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকে তাহলে এ কর্মকাণ্ড করতো না। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান অনিয়ম-দুর্নীতি আর জনভোগান্তির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। টাকা ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায়না।স্থানীয়দের অভিযোগ, নিজের হাতে ঘুষের টাকা না নিলেও নাইটগার্ড কাম অফিস সহকারী কমিরুল ইসলামের মাধ্যমে টাকা না দিলে কোনো কাজই করতে চান না সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান।এ ঘটনার পর সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) সোয়েল রানা সাংবাদিক অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় একজন সাংবাদিক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।