বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুরে এবার ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেড়েছে। এরফলে বাজারে ইউরিয়া সারের চাহিদাও বেড়েছে। বাম্পার ফলন ও লাভবান হওয়ার আশায় এবার সোনালী আঁশে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, গত বছর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাট চাষ হয়। এবারে চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে পাট চাষ।
কৃষি অফিস জানায়, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি জমিতে গড়ে ৮ মণ পাট উৎপাদন হয়। বাজার দর মোতাবেক প্রতি বিঘায় পাট বিক্রি করে কৃষক পায় ২০ হাজার টাকা। সেই সাথে পাট কাঠি বিক্রি করে পায় আরও ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। প্রতি বছর পাট মৌসুমে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে পাট বেচাকেনা হয়। বর্তমানে পাটের বাজার দর চলছে গড়ে ৩ হাজার টাকা মণ।
তাই চাষীরা ধান চাষ থেকে সরে এসে বেশী ফলন ও বাজার মূল্য বেশী পাওয়ায় এবার পাট চাষের দিকে ঝুঁকেছে। এজন্য বাজারগুলোতে ইউরিয়া সারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এতে বাজারে সারের সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছে। তবে চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত ২৪০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার ডিলারদের বরাদ্দ দেওয়ায় সংকট থাকবে না বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও পাটের বাম্পার ফলন হবে। লাভের আশায় কৃষকরা পাট ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।#