মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বছর না ঘুরতেই ভাঙছে কোটি টাকার সেতু

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দায় সেতু নির্মাণের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যেন এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদ। সেতুর দুইপ্রান্তই দিন দিন ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে পড়ছে পাড়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সাধারণ মানুষ। ঘটছে দুর্ঘটনাও।

এলাকাবাসী মাটি ফেলে লাল নিশান টানিয়ে চলছে চলাচল। কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্থানীয় সরকারের (এলজিইডির) বাস্তবায়িত সেতুটি এলাকাবাসীর কাছে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।এদিকে নির্মিত সেতুর ভগ্নদশা পরিদর্শন করে এলজিইডির প্রকৌশলী বলছেন, কাজ ভালোই হয়েছে। সেতু নির্মাণের দু’ এক বছরে পানির তোড়ে ভাঙতেই পারে।

বছর না ঘুরতেই ভাঙছে কোটি টাকার সেতু

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজার এলাকার বুগাই শাখা নদীর ওপর ১১১ মিটার দৈর্ঘ্যের ১৮ ফিট প্রশস্ত একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।সঠিক অর্থ বরাদ্দ এবং নির্মাণ সমাপ্ত সময় দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে আনুমানিক ব্যয় ১২ থেকে ১৩ কোটি বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে কোন রকম দায়সারাভাবে কাজটি হয়েছে। ফলে নির্মিত সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির পূর্বদিকের শেষপ্রান্তে বালু সরে গিয়ে বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম দিকের গার্ডার ও সেতুরক্ষা বাঁধও ভেঙে গেছে। যে কারণে প্রায় ১৫টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।

বছর না ঘুরতেই ভাঙছে কোটি টাকার সেতু

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম আকন্দ ও শহীদ মিয়াসহ পথচারীরা আরও জানান, লুটপাট করতেই সেতু করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ করার কারণেই দেড় বছরের মধ্যেই সেতুটির এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একটি সেতু নির্মাণ করা হয় ৫০ অথবা ১০০ বছরের হিসাব ধরে। ঠিকাদার এবং প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেট ভরেছে। মাঝখান থেকে সরকারের টাকা গচ্চা গিয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী মরণ মাথায় নিয়েই ঘুরছে। গত ২৮ নভেম্বর রাতে সেতুটির গর্তে পড়ে তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে সেতু পরিদর্শনে আসা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন জানান, কাজ ভালো হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সংযোগ সড়ক ভেঙেছে। ব্রিজের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এটি অচিরেই মেরামত করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

তিনি আরও জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কাজটি টেন্ডার হলে অসীম সিংহ বিপ্লব ও দীপঙ্কর নামে ঠিকাদার কাজটি করেছেন। অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় কত টাকা বরাদ্দ ছিল তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। ২০১৮ তেই কাজটি বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদার।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১