মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

হাজি বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ২০, হাসপাতালে ৩

হাজি বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ২০, হাসপাতালে ৩ ।
নেত্রকোনায় ‘হাজি বিরিয়ানি’ নামের স্থানীয় একটি হোটেলের বিরিয়ানি খেয়ে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই হোটেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসেনর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খবিরুল আহসান এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে হোটেল মালিককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি অনুষ্ঠানের জন্য ওই হোটেল থেকে ৪৫ জনের খাবার নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সংস্কৃতিমকর্মীসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে দুপুরের খাবার দেওয়া হলে অনেকেই অনুষ্ঠানস্থল পৌর ভবনের হলরুমে বসেই তা খেয়ে ফেলেন। আবার অনেকে বাড়িতে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের খেতে দেন।

পরে ওই রাত থেকে অনেকের বমিসহ ডায়রিযা শুরু হয়। তাদের অনেকেই নিজেরা চিকিৎসা করেন। এর মধ্যে কারো কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদেরকে রাতেই নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাাতলে ভতি করা হয়। সন্ধ্যায় আমাদের নেত্রকোনা পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর মানিক ও মধ্য রাতে মাই টিভির সাংবাদিক আনিসুর রহমানের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ভোর রাতে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক কামাল হোসাইনের স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বাড়িতেই চিকিৎসা নেন শিক্ষার্থী তানভীর, সাদ্দাম, নিউজ ২৪ এর সাংবাদিক সোহান আহমেদ, সংবাদ প্রতিদিনের আব্দুর রহমান ও প্রথম আলোর সাংবাদিক পল্লবসহ তার শিশু সন্তান।

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাাতলের মেডিকেল অফিসার ডা. উচ্ছাস সরকার বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণে এটি হয়েছে। বিরিয়ানির চাল হয়তো সিদ্ধ হয়নি অথবা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবারটা নতুন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাই টিভির সাংবাদিক আনিসুর রহমান ও যমুনা টিভির কামাল হোসাইন বলেন, এসব হোটল কোনো রকম নিয়মনীতি না মেনে মানুষকে মৃত্যু মুখে ফেলে দিচ্ছে অতি মুনাফার লোভে। তারা বাসি ও পঁচা খাবার বিক্রি করে। কিছু মানুষ কম টাকায় পাওয়া এসকল খাদ্য লুফে নেন। অনেকে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েও বলার জায়গা পায় না। এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

জেলা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, আমরা এই খাবার খেয়ে শুধু অসুস্থই না আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এদের ভোক্তা অধিকার আইনে প্রতিনিয়িত মনিটরিংয়ে রাখা দরকার। সেইসঙ্গে এই হাজি বিরিয়ানি নামে মানুষ ঠকানো হোটেলগুলোকে সিলগালা করে দেওয়া দরকার।

অন্যদিকে হোটেল মালিক জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি চার বছর ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তার খাবার বেশ ভালো। কম দাম হওয়ায় মানুষ আসে। এর আগে কোনো দিন কোনো অভিযোগ আসেনি।

তবে ভোক্তা অধিকার আইনে হোটেল চালানোর জন্য যে যে নিয়ম আছে তা মানা হয় কিনা সে ব্যাপারে তিনি কোনো কথা বলেননি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১