বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার । রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সালাফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ আগস্ট ভোরে নগরীর বাবুখাঁর একটি বাড়িতে গোপন বৈঠকের সময় পুলিশ হানা দিয়ে রংপুর মহানগর, জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ের ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বড় ধরণের অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য তারা গোপন-বৈঠক করছিলো এবং তাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বড় রকমের নাশকতা এড়ানো গেছে বলে দাবি করে পুলিশ। তবে ওই বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলো বলে জানিয়েছিলো পুলিশ। পালানো জামায়াত নেতাদের মধ্যে পুরো ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আব্দুল্লাহ সালাফিও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিলো।
মূলত ২৫ আগস্ট ভোরের এই ঘটনার পর থেকেই সালাফিসহ আরও কয়েকজনকে খুঁজছিলো পুলিশ। দুই সপ্তাহ পর সালাফিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ।
নাশকতা ও রাষ্ট্র বিরোধী পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতের বিভিন্ন ইউনিটের আমির-সেক্রেটারিসহ ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে মহানগর পুলিশের একটি দল। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ ওই মামলা দায়েরের নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট বুধবার ভোর ৬টার দিকে রংপুর নগরীর দক্ষিণ বাবুখাঁ এলাকার লোকমান হোসেনের টিনশেড বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এতে মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ফরহাদ হোসেন মন্ডল (৩৮), সদর উপজেলা কমিটির সেক্রেটারি শাহানত মিয়া (৪৫), জামায়াত নেতা আলী (৬৫), মশিউর রহমান (৪০), আব্দুল মালেক (৩০), মিজানুর রহমান (৩৮), মাহমুদুর রহমান (৬০), ওবায়দুর রহমান (৪০), শরিফুল ইসলাম (৩৬), জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ১৪-১৫ জন জামায়াত নেতাকর্মী পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ।