বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ ।
আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজার ও রাজধানীর ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় সোনার দোকানে ডাকাতি চক্রের মূল হোতা সোহরাব হাওলাদারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সোহরাবকে এবং এর কয়েক দিন আগে তাঁর তিন সহযোগীকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সোহরাবের ডাকাত চক্রের ওই তিন সদস্য হলেন ডাকাতিতে ব্যবহৃত স্পিডবোটের চালক মো. শাহীন (২৫), ডাকাত চক্রের সদস্য দানেশ ফকির (৩৫) ও সুমন (২৯)। জব্দ করা হয়েছে স্পিডবোটটি। আশুলিয়ায় নয়ারহাটে বেশ কয়েকটি দোকান ও রাপা প্লাজায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এ নিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদের মধ্যে আশুলিয়ায় ১৫ জন ও রাপা প্লাজায় ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডাকাত চক্রের মূল হোতা সোহরাব হাওলাদার ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, ডাকাত চক্রের মূল হোতা সোহরাব হাওলাদারের নেতৃত্বে তাঁর চক্রের ৫০ সদস্য ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও বরিশালে সোনার দোকানে ডাকাতি করে আসছিলেন। আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের ডাকাতির মামলার তদন্তের সূত্র ধরে রাপা প্লাজার ডাকাতির রহস্যের জট খুলেছে। ডাকাত চক্রের মূল হোতা সোহরাব হাওলাদার আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজার ও ঢাকার রাপা প্লাজায় ডাকাতিতে সরাসরি নিজে নেতৃত্ব দেন। জিজ্ঞাসাবাদে সোহরাব হাওলাদার সিআইডির কাছে নিজে ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেন।

৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজারে ১৯টি জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র ডাকাত স্বর্ণালংকার, রূপা, নগদ টাকাসহ মোট ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সে হানা দিয়ে প্রায় ২০০ ভরি সোনার অলংকার লুট করে ডাকাতেরা। ওই অলংকারের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সিআইডির কর্মকর্তা ইমাম হোসেন জানান, লুট করা সোনা গলিয়ে পাত হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগে এর আগে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহিম, সবুজ রায় ও সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ী সবুজ রায়ের পুরান ঢাকার ইসলামপুরের বাসা থেকে চোরাই স্বর্ণ গলানোর পর পাত করা ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ১২ ভরি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের নয়াবাজারের বাসা থেকে ডাকাতি করা ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ২৪ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ডাকাতি চক্রের সদস্য শাহানার বাসা থেকে ডাকাতি করা সোনা বিক্রির ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ইমাম হোসেন আরও বলেন, রাপা প্লাজা ও আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ১০ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১