বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শুক্রবার বিকেলে গুলশান থানায় এ দুই মামলা দায়ের করা হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, র্যাব সদস্যরা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে হেলেনাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে ব্রিফিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ১৩ টি ক্লাবের সখ্যতা রয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতেন।
‘হেলেনা জাহাঙ্গীর একজন উচ্চাভিলাষী মহিলা। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতো।’
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদেশে বসে সেফাতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি যে অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করতো সেই ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ লেনদেনসহ নিয়মিত যোগাযোগ রাখত হেলেনা জাহাঙ্গীর।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘যেসব অবৈধ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে সবকিছু হেলেনা জাহাঙ্গীরের নিজ কক্ষে ছিল।
হেলেনা জাহাঙ্গীর এসব বিষয় স্বীকার করেছেন বলে জানান খন্দকার আল মঈন। পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্ত করা হয়।
এর আগে ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অবৈধ মাদক, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানিয়েছিলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের জয়যাত্রা আইপি টেলিভিশনের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারের (২৯ জুলাই) অভিযানে মিরপুরের জয়যাত্রা অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।