মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
এ সময় দেলোয়ারের ৩ ছেলে এবং এক ছেলের স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত দেলোয়ার হোসেন তালুকদার একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। আহতরা হলেন তার বড় ছেলে বিপ্লব তালুকদার, সোহাগ তালুকদার ও জুয়েল তালুকদার এবং বিপ্লবের স্ত্রী রোজিনা বেগম। আহত ৪ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আটিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বাড়ির পাশে ৩০ বছর আগে ২০ শতাংশ জমি কিনে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ওই জমিতে ধানের বীজ রোপণ করেন দেলোয়ার। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমিতে বীজ রোপণ করে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম সেপাই। খবর পেয়ে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ধানের বীজ রোপণে বাধা দেন। এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জমিতে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে তার বড় ছেলে বিপ্লব ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও পিটিয়ে-কুপিয়ে ক্ষেতেই ফেলে রাখে তারা। এ সময় দেলোয়ারের অপর দুই ছেলে সোহাগ ও জুয়েল এবং বিপ্লবের স্ত্রী রোজিনা তাদের বাঁচাতে গেলে তাদেরও ট্যাটাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষেতে ফেলে রাখে। সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়নি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের পাঠানো হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা এবং তার পরিবারের অপর ৪ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আর্শাদ।