বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ম্যাচের শুরুটা মোটেও মনমতো হয়নি লিওনেল মেসির। তবে শেষটা যেভাবে করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, তাতে মোটেও খেদ থাকার কথা নয় মনে। দুটো গোলের যোগান দিলেন, শেষে করলেন ফ্রি কিক থেকে চমৎকার এক গোল। তাতে আর্জেন্টিনা ইকুয়েডরকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে।
চলতি কোপা আমেরিকায় মেসি আর ডি পল একে অপরকে পাস দিয়েছেন ৫৩টা, এত বেশি পাস আদান-প্রদান হয়নি আর আর্জেন্টাইন আর কারো মাঝেই। তবে কোথায় একটা কমতি ছিল যেন, দুজনের কেউই কারো গোলে যোগান দেননি এতদিন। সে অপূর্ণতাটা ঘুচেছে আজ। ৪০ মিনিটে মেসির পাস থেকেই গোলটা করেন ডি পল। তাতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর শুরুতে বেশ চাপেই ছিল কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির দল। মুহুর্মুহু আক্রমণে ইকুয়েডর সমতা ফেরানোর চোখরাঙানি দিচ্ছিল চলতি আসরের না হওয়া স্বাগতিকদের। পরিস্থিতি ভোজবাজির মতো বদলে গেল ৭১ মিনিটে, কোচের এক সিদ্ধান্তে। নিকো গঞ্জালেসের জায়গায় এলেন নিকলাস টালিয়াফিকো, আর পারেদেসের বদলে এলেন গিদো রদ্রিগেজ, ডি মারিয়া এলেন জিওভানি লো চেলসোর জায়গায়।
ম্যাচজুড়ে দারুণ দুটো গোলের যোগান দিয়েছিলেন, কিন্তু গোলটা না পেলে কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকে যেত মেসির পারফর্ম্যান্সে। সেই প্রাপ্য গোলটাও এল ৯০ মিনিটে। প্রতি আক্রমণে বল নিয়ে উঠে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ডি মারিয়া। বক্সের কাছাকাছি হওয়ায় রেফারি প্রথমে পেনাল্টিই দিয়ে বসেছিলেন। পরে ভিএআর দেখে এসে পরিবর্তন করেন সে সিদ্ধান্ত। তবে তাতে মেসির গোল আটকে থাকেনি।
এই ম্যাচের পারফর্ম্যান্সের ফলে কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা তো বটেই, সর্বোচ্চ যোগানদাতার তালিকাতেও শীর্ষে উঠে এসেছেন মেসি। এ ম্যাচ শেষে গোল আর অ্যাসিস্ট, দুই খাতাতেই ৪টি করে গোল জমা হয়েছে ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর।
সেমিফাইনালে এবার মেসিদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া, যারা দিনের শুরুর ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে উরুগুয়েকে বিদায় করে এসেছে শেষ চারে। আগামী বুধবার সকাল সাতটায় যে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।