মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে চুক্তির সিদ্ধান্ত

স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং দুবাইয়ের চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা মিলিত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির (এমএসপিএ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।



প্রতিষ্ঠান চারটির মধ্যে রয়েছে- জাপানের ইটোচু কর্পোরেশন, সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, যুক্তরাজ্যের টোটাল গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এবং দুবাইয়ের শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং মিডল ইস্ট লিমিটেড।

বুধবার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত ১৮তম অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ সই-এর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে। এ লক্ষ্যে জাপানের ইটোচু কর্পোরেশন, সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, যুক্তরাজ্যের টোটাল গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এবং দুবাইয়ের শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং মিডল ইস্ট লিমিটেডের সঙ্গে এমএসপিএ করা হবে। এই এমএমপিএ সই করার বিষয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। আদালত গ্যাস কোম্পানিগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেয়। তারপর থেকেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি ঝুলে আছে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্কট বিবেচনায় ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। সামিট এলএনজি ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির স্থাপন করা ভাসমান টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রতিটি এফএসআরইউর সক্ষমতা দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট। তিন-চার বছরের মধ্যে প্রতিদিন ৪০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে জাতীয় গ্যাস সঞ্চালন লাইনে প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১