মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ধরাছোঁয়ার বাইরে কিশোর গ্যাং লিডাররা

চট্টগ্রামে অধিকাংশ কিশোর গ্যাং লিডার এখনো অধরা। অপকর্মে জড়িত কিশোর গ্যাং লিডারদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও সফল হচ্ছে খুব কম ক্ষেত্রে।


নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, সরকারি দপ্তরগুলোতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, গার্মেন্ট ব্যবসা, জমি দখল, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা কোণঠাসা করাসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রুপিং, সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং লিডাররা। আর গ্রুপ ভারী করতে কিশোর তরুণদের বিপথগামী করে তুলছে এরা। সিএমপির হাতে কিশোর গ্যাং লিডারদের একটি তালিকা রয়েছে। তবে এ তালিকার অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নগরীর অপরাধপ্রবণ এলাকার শীর্ষে রয়েছে চান্দগাঁও থানা এলাকা। এখানে ভয়ংকর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোহেল ওরফে ফ্রুট সোহেল। তার গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য কিশোর ও দুর্ধর্ষ অপরাধী। তাদের দিয়ে সোহেল বহদ্দারহাট মোড়সহ চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ফুটপাত ও সড়কের পাশের দোকান, নির্মাণাধীন ভবন, গার্মেন্ট, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন খাত থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালাচ্ছে। চান্দগাঁওয়ে কিশোর জিয়াদ ও হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড সবুর হত্যাকাণ্ডের আসামিরা সবাই সোহেলের সহযোগী। এমনকি চাঁদার জন্য আমজাদ নামে এক ব্যক্তির দুই পা ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনাও ঘটিয়েছে সোহেলের সহযোগীরা। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মিছিল করার জের ধরে ১ এপ্রিল পূর্ব ষোলশহর এলাকায় কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় আনোয়ার নামে এক গার্মেন্ট কর্মকর্তার।

অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘কিশোর গ্যাং কালচার চট্টগ্রামে নগরীতে থাকবে না। যেসব কিশোর গ্যাং লিডারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তারা সবাই পলাতক। তাদের খোঁজা হচ্ছে। পাওয়া গেলেই গ্রেফতার করা হবে।

সূত্রঃ যুগান্তর

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১