রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে হলে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সমান অধিকার দিয়ে সংবিধান করতে হবে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ করতে হবে। ৭০-এর অনুচ্ছেদ বাতিল করে হাত তোলা এমপি বাদ দিতে হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য’ অনুষ্ঠিত গণসংলাপে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।জোনায়েদ সাকি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা পকেটে তুলে বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতি অ্যাখ্যা দিয়ে যখন আত্মসম্মানে আঘাত হানলেন তখন তারা দেশের মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। তখন প্রত্যেকের আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছিলেন হাসিনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জেনারেল আজিজ তার খুনি ভাইদের সুরক্ষা দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আইজিপি বেনজীরের মতো আমলারা কেবল ক্ষমতার দাপটে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। গর্ব করে বলেছিলেন- শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঠিকই পালিয়ে গেছেন।গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক প্রমুখ। গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সচিব জুয়েল রানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক প্রমুখ। গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সচিব জুয়েল রানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।