বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
সেন্টমার্টিনে প্রাণচাঞ্চল্য কমে গেলে দ্বীপটাই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’। সংগঠনটি বলছে, দ্বীপের ক্ষয় হচ্ছে না; বরং আয়তন দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দ্বীপে যাতায়াত ও অবস্থানে সরকারি বাধা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সদস্যরা এমন মন্তব্য করেন।
স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির আহ্বায়ক জিয়াউল হক বলেন, দ্বীপ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এ রকম কিছুই হচ্ছে না, বরং দিন দিন দ্বীপের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগরের ঢেউয়ে কিংবা প্রাকৃতিক কারণে দ্বীপের এক অংশ ভাঙলে দ্বীপের আরেক অংশে চর জেগে ওঠে। দশকের পর দশক এভাবেই আমরা দেখছি এবং এটাই হচ্ছে দ্বীপের বাস্তবতা। অথচ এই বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে দু’একটি বিদেশি জার্নালের কল্পনাপ্রসূত ও কন্সপিরেসি থিউরিমূলক গবেষণার রেফারেন্সে সরকারিভাবে দেশীয় শিল্প ও দেশের জনগণের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়ে দ্বীপবাসীর মৌলিক ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। পরিবেশ উপদেষ্টা দেশের মানুষের পরামর্শ ও দাবি-দাওয়াকে পাত্তা না দিয়ে বিদেশি জার্নালের পরামর্শে তিনি নিজ দেশের পর্যটন শিল্প ও দ্বীপবাসীকে একটা মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেটা কোনো দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিকের কাজ হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিদেশি জার্নালের রেফারেন্স টেনে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেছেন, পর্যটকরা কোরাল তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই ২০৪৫ সালের মধ্যে নাকি সব কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ (নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ) ডুবে যাবে! পরিবেশ উপদেষ্টার রেফারকৃত এই কথা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক। উপদেষ্টা কখনও দ্বীপে গিয়েছেন কি না, অথবা গিয়ে কখনও কথিত জার্নালের দেওয়া তথ্যসমূহের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেছেন কি না- আমরা তা জানি না। তবে গিয়ে থাকলে এমন অবাস্তব কথা তিনি বলতে পারতেন না। কারণ বিজ্ঞান ও বাস্তবতা হচ্ছে, কোরাল ক্ষয় হয় না, বরং প্রতি বছর গড়ে প্রায় ০ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৮ সেমি হারে বৃদ্ধি পায়।