শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
চলমান গাজা যুদ্ধ বন্ধে বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। তবে যুদ্ধবিরতি চেষ্টার সবকটি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় কোনোটি সফলতার মুখ দেখেনি। ফলে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কাতার থেকে হামাসের রাজনৈতিক অফিস উচ্ছেদ করতে দোহা প্রশাসনকে চাপ দেয় ওয়াশিংটন।
পরিস্থিতি যখন এই তখন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তার এই প্রতিশ্রুতিতে গাজা যুদ্ধ রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। তেমনি পরবর্তী ট্রাম্প প্রশাসন কতটা ফিলিস্তিনি স্বার্থ রক্ষা করবে এটিই এখন বড় প্রশ্ন।
আলজাজিরায় লেখা এক নিবন্ধে কানাডার ক্যালগারির মাউন্ট রয়েল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আয়াশ লিখেন, অনেকেই মনে করছেন এবারের ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের চেয়েও ফিলিস্তিনি ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ হবে। এ সময় তারা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের পররাষ্ট্রনীতির দিকে ইঙ্গিত করেন। লেখক জানান, যদি গত আট বছরে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে তাতে মৌলিক কোনা পরিবর্তন নেই।
মুহান্নাদ আয়াশ জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বর্তমানের চেয়ে খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা অনুসরণ করেছে কেবল। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি তিনটি মূলনীতির ওপর নির্ভর করে। প্রথমটি হল দ্বিরাষ্ট্র ব্যবস্থায় মার্কিন সমর্থন। তবে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করলে তা প্রত্যাহার করেনি বাইডেন প্রশাসন। ফলে ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণকে স্পষ্ট বৈধতা দেয়ার ইঙ্গিত দেয় মার্কিন প্রশাসন।