বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এর কৃষিখাত ও কৃষকের বর্তমান পরিস্থিতি একই সঙ্গে দুঃখজনক এবং চিন্তনীয় বিষয়। কৃষিখাতে এদেশের অপার সম্ভাবনা থাকলেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যোগ্য ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অভাবে এ খাতটি চরম দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আর তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমদানি নির্ভর কৃষিখাত, কৃষকদের কৃষিঋণের দুষ্টচক্রে আটকে ফেলাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে এদেশের কৃষিব্যবসা।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা নিত্যকার পরিধিতেই থাকে। আর আগামীর বাংলাদেশ এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে এদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেমনটা মনে করেন তা জানার আগ্রহ বরাবরই। গত ৯ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত ৩ মাসব্যাপী প্রান্তিক কৃষি ও কৃষকভিত্তিক একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন তারেক রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে শুনলাম ওনার সম্পূর্ণ বক্তব্য; যেখানে দেশের কৃষক ও কৃষিখাতকে বাঁচাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সম্ভাবনাময় পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা শুধু সময়োপযোগীই নয় বরং বিশদ আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে পালনযোগ্যও বটে।
দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাষ্যমতে, প্রায় ২০ কোটি বাংলাদেশিদের অধিকাংশ এই কৃষিখাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত। তাই, ২০২৩ সালে বিএনপি প্রণীত রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ৩১দফায় কৃষিবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে এবং অবহেলায় জর্জরিত এদেশের কৃষিখাতকে ‘কৃষিশিল্প’-তে উন্নীত করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের কাছে পৌঁছে তাদের সমস্যা জানার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
তার কৃষিভাবনা এমন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে উল্লেখ করতে গিয়েই প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান ও খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম ‘তারেক রহমান: পরম্পরার নিশানটি যার হাতে’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলেছেন: ‘ঠিক জিয়ার মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের সার, কীটনাশক গবাদিপশু বিতরণ করেছেন…’