মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ইউনিট বাঁধন-এর নবীনবরণ অনুষ্ঠানে দেওয়া খাবার খেয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারাত্মক অসুস্থ দুজন নারীসহ আট শিক্ষার্থীর জন্য বেসরকারি এক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। চিকিৎসা পেয়ে ইতোমধ্যে ছয় শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং বাকি দুজন চিকিৎসারত আছেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের দেখতে যান ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম এবং বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল হায়দারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে সংগঠনটির ঢাবি শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের কালবেলাকে বলেন, শহীদুল্লাহ হলের বাঁধন কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণে বনফুলের খাবার খেয়ে ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের তৎক্ষনাৎ দেখতে যান ঢাবি শিবিরের সভাপতি আবু সাদিক ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদসহ অন্যান্য নেতারা। এসময় তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার স্যালাইন, চিড়া ইত্যাদি পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে মারাত্মক অসুস্থ দুই নারী শিক্ষার্থীসহ মোট আট শিক্ষার্থীকে রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ঢাবি শিবিরের পক্ষ থেকে। হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে ৬ জন শিক্ষার্থী আজকে সুস্থ হয়ে হলে ফিরে এসেছে। আরও দুজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে, গত সোমবার (৪ নভেম্বর) অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চলমান ও অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও শহীদুল্লাহ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয় শাখাটি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ইউনিট বাঁধন-এর নবীনবরণ অনুষ্ঠানের জন্য চার আইটেমের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সেগুলো হলো লাড্ডু, কাপ কেক, সিংগারা ও পাটিসাপটা পিঠা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা লাড্ডু ও কেক সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে মেয়াদ ও গুনগত মান দেখে-শুনেই এনেছেন। এই দুই আইটেমে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া, সিংগারা হল ক্যান্টিনে নিজেদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি করা হয়েছে। এটাতেও সমস্যা নেই বলে দাবি তাদের। তবে তাদের সন্দেহের তীর বনফুলের পাটিসাপটা পিঠার দিকে। তাদের ধারণা, এই পিঠা খেয়েই তাদের পেটে সমস্যা, জ্বর, বমি ইত্যাদি অসুখ হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘বনফুল সুইটস অ্যান্ড কোং’ চানখারপুলের ম্যানেজার আল আমিন বিষয়টিকে নাকচ করে বলেছেন, তাদের খাবারে কোনো ঝামেলা নেই।