শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলীগাঁও গ্রামে বাড়ি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের। স্থানীয় জনসাধারণের কাছে তিনি পরিচিত দানবীর হিসেবে। গরিব-দুঃখীকে সহায়তার পাশাপাশি এলাকায় গড়েছেন সুদৃশ্য মসজিদ এবং মাদ্রাসাও। ঢাকা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। কিন্তু ডিপিডিসির একজন প্রকৌশলী সরকারিভাবে যে বেতন পান, তাতে সাধারণ জীবন ধারণ করার কথা। তার শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার সুযোগ নেই।
অভিযোগ আছে, নিজের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ডিপিডিসিতে সরবরাহ, সাধারণ গ্রাহকদের সাব-স্টেশনের সরঞ্জাম কিনতে বাধ্য করা, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করে তিনি গড়েছেন এসব সম্পদ। বাধাহীনভাবে এসব অনিয়মকে চালু রাখতে হয়েছেন কথিত বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। নিয়মনীতিকে থোরাই কেয়ার করে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছেন ডিপিডিসিকে। তবে এত অনিয়ম করলেও তার বিরুদ্ধে এখনো নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলেও অদৃশ্য কারণে তাকে একপ্রকার দায়মুক্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুতের উচ্চ চাপ সংযোগ পেতে হলে ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের কোম্পানির সাব-স্টেশনের সরঞ্জাম নেওয়া ছিল এক প্রকার বাধ্যতামূলক। তার কোম্পানির সাব-স্টেশনের সরঞ্জাম নিতে না চাইলে সেই গ্রাহককে পড়তে হতো নানা হয়রানির মধ্যে। ডিপিডিসির এ কর্মকর্তা বেশি দামে নিম্নমানের সাব-স্টেশন কিনতে গ্রাহককে বাধ্য করতেন বলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতায় আরও বেপরোয়া হয়ে যান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ডিপিডিসির মগবাজার ডিভিশনে উপসহকারী প্রকৌশলী থাকাকালে বিশেষ পদ্ধতিতে ম্যানেজ করে দুই ধাপ টপকে সরাসরি সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় প্রায় ৩০ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করেন ওশাকা পাওয়ার লি. নামের বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণ কারখানা। এই কারখানায় গিয়ে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে কাঠের দরজা তৈরির একটি প্রতিষ্ঠানকে এটি ভাড়া দিয়েছেন রাজ্জাক। তবে এটি যে কারখানা, তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মালপত্র দেখে স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা যায়।
এ ছাড়া প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় চন্দ্রীমা মডেল টাউন প্রকল্পে দুটি বহুতল বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও নিজ জেলা শেরপুরেও গড়ে তুলেছেন অঢেল বিত্তবৈভব। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলীগাঁও গ্রামে প্রায় পাঁচ একর জমির ওপর বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি, বাড়ির সামনে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন দোতলা মসজিদ আর পাশেই মাদ্রাসা। এর পাশেই করেছেন বিশাল মাছের খামার। একই এলাকার তিনআনি বাজারে বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক তার বড় ভাইকে দিয়ে পরিচালনা করছেন। তা ছাড়া শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় ‘শেরপুর ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (সিস্ট)’ এবং ‘সিসকো ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের দুটি পলিটেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। শেরপুর পৌর এলাকার দীঘারপাড়ে ৬ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন বিশাল মৎস্য খামার। তা ছাড়া শেরপুর বাসস্ট্যান্ডের জামুর দোকান ও রংমহল এলাকায় দুটি বাড়ি ছিল, যা তিনি এরই মধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ছাড়া গাজীপুরে তার আরও একটি বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে।
শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু সালেহ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (হিরু) এ ব্যাপারে বলেন, রাজ্জাক কীভাবে এত বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন, আমার জানা নেই। তবে তিনি এলাকায় অনেক দান করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক। তার বাবা একজন কৃষিজীবী।
অভিযোগ রয়েছে, পতিত সরকারের আমলে রাজ্জাকের কোম্পানি ওশাকা পাওয়ার লি. থেকে সাব-স্টেশন না কিনলে ডিপিডিসির আওতাধীন কোনো গ্রাহক উচ্চ চাপ সংযোগ পেতেন না। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ দেওয়া হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ তদন্তে ডিপিডিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে প্রধান করে গঠিত হয় কমিটি। সেই কমিটির সুপারিশে অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু প্রধান অভিযুক্ত প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো তদন্ত কমিটির প্রধানকেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। মাতুয়াইল, জুরাইন, শ্যামপুর ও কাজলা এলাকায় প্রকৌশলী রাজ্জাকের সিন্ডিকেট গ্রাহকদের তার সোলার প্যানেল নিতে বাধ্য করত।
ডিপিডিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এই তদন্ত কমিটিতে থাকায় আমি সাফারার। আমি ওই রিপোর্টটি দেওয়ার জন্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সূত্র জানায়, প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল জ্যেষ্ঠতার নিরিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও পরে তাকে বঞ্চিত করে জুনিয়র একজনকে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ডিপিডিসির বদলি, পদোন্নতিসহ ডিপিডিসির প্রায় সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। ঢাকাস্থ তার নিজ জেলা শেরপুর কিংবা ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো অনুষ্ঠান হলেই ডিপিডিসির অনেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীদের থেকে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা নিতেন। তিনি এতটাই ক্ষমতাধর ছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় অভিযোগ করলেও তিনি সেগুলো ধামাচাপা দিয়ে রাখতেন। এসব অভিযোগের আর কোনো তদন্ত হয়নি। এতসব অনিয়মের পরও প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে বর্তমান সরকারের আমলেও ডিপিডিসির উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডিপিডিসির এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রকৌশলী রাজ্জাক গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দোর্দণ্ডপ্রতাপের অধিকারী ছিলেন। তিনি ডিপিডিসিতে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাকে হেনস্তার শিকার হতে হতো। তার নেটওয়ার্ক এখনো এতটাই শক্তিশালী যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমলে গত ১৫ আগস্ট প্রকৌশলী রাজ্জাককে সিস্টেম কন্ট্রোল অ্যান্ড স্ক্যাডার দপ্তরে বদলি করা হলেও মাত্র ২৬ দিনের মধ্যে ১১ সেপ্টেম্বর তার বদলির আদেশ বাতিল হলে পূর্বের পছন্দনীয় প্রকল্প পরিচালক পদে বহাল থাকেন। পরে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত প্রকৌশলীরা এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানালে প্রকৌশলী রাজ্জাককে একই দিন অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে এক আদেশে ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের দপ্তরে বদলির আদেশ হয়।
জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে রাজধানীর পান্থপথের ১৫২/২/এম (৩য় তলা) ঠিকানায় করপোরেট অফিস করে ওসাকা পাওয়ার লিমিটেডসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন প্রকৌশলী রাজ্জাক। প্রকৌশলী রাজ্জাক ডিপিডিসির প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘ওসাকা পাওয়ার লিমিটেড’-এর প্রস্তুতকৃত নিম্নমানের ট্রান্সফরমার বিভিন্ন প্রকল্পে সরবরাহ করেন। এভাবেই ২০১৬ সালের জুন মাসে একটি প্রকল্পে ওসাকা পাওয়ার লিমিটেডের নিম্নমানের ৩০০টি ট্রান্সফরমার সরবরাহ করার পর তা মানহীন হওয়ার অভিযোগে তৎকালীন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বিল আটকে দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে ৩শ ট্রান্সফরমারের মধ্যে ১৯১টিই মানহীন হিসেবে চিহ্নিত হয়।
প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের সিন্ডিকেটের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ডিপিডিসিতে মানহীন ট্রান্সফরমারের কারণে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি নানা দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। আমরা জেনে বুঝেও এসব মানহীন ট্রান্সফরমার বিদ্যুতের উচ্চ চাপ সংযোগের গ্রাহককে নিতে বাধ্য করতাম। মানহীন এসব ট্রান্সফরমার সরবরাহ করার বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান এ প্রকৌশলী।
প্রকৌশলী রাজ্জাক ডিপিডিসিতে কর্মরত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা ব্যয় করে নিজ জেলা শেরপুরের মানুষের কাছে হয়েছেন শিল্পপতি ও দানবীর। এসব অর্থে তিনি শেরপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতিবাজরা বহুমাত্রিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। আর এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তারা অর্থবিত্তের মালিক হচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৌশলী রাজ্জাক ডিপিডিসির কর্মী হিসেবে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরবরাহ করতে পারেন না। এটা আইন পরিপন্থি। এটা ঘোরতর অন্যায় হয়েছে। এটা তিনি করতে পেরেছেন তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে এবং দলীয় প্রভাবকে ব্যবহার করে। ডিপিডিসিতে তার পদ এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দুটির সংমিশ্রণে যে ক্ষমতা তার অপব্যবহার করে তিনি ডিপিডিসিতে তার নিজস্ব কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করেছেন। এর মাধ্যমে তার যে বৈধ আয় তার সঙ্গে দৃশ্যত অসামঞ্জস্য সম্পদ অর্জন করেছেন। এটাও বহুমাত্রিক অপরাধের একটি। এর মাধ্যমে তিনি সরাসরি দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের যত অবৈধ সম্পদ অর্জন সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে পাশাপাশি তার যে ক্ষমতার অপব্যবহার এসব অপরাধের কারণে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অপরাধীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছায়। জবাবদিহি না থাকায় এ ধরনের অপরাধ এরা অকপটে করতে পেরেছে; কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি এ ধরনের অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হয় তাহলে অন্যদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করবে।
প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইলে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা দুদিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাকে জানতে চাওয়া বিষয়গুলো দিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি উত্তর দেননি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নোমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে হওয়া একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।