বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও গবেষক। তিনি ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট। তিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান। তবে এ দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়। তার গবেষণা ও প্রকাশনার ক্ষেত্র হচ্ছে গণতন্ত্র, সহিংস উগ্রবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি। সাম্প্রতিককালে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ, রাষ্ট্র ও সংবিধানের সংস্কার, প্রশাসনের স্বচ্ছতা-জবাবদিহি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন
বাংলাদেশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার প্রয়োজন। এ সংস্কার কীভাবে হতে পারে বলে মনে করেন?
আলী রীয়াজ: রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হলো, নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া। দলের নেতৃত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে আসবেন নাকি একেবারে প্রান্তিক স্তর থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নিয়ে কেউ আসবেন, তা নির্ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রথমে এ নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া ঠিক করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, সামগ্রিকভাবে দলের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে আর্থিক বিষয় পর্যন্ত সব কাজে স্বচ্ছতা তৈরি করা জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতার বড় অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যখন ক্ষমতায় গেছে তখন এটা আরও বড় করে লক্ষ করা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দীন সাহেবকে মনোনয়ন দেয়, তখন সেটা কেউ জানত না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই সিদ্ধান্ত নেন এবং সবাইকে বিস্মিত করে সাহাবুদ্দীন সাহেবকে মনোনীত করেন।
আমি মনে করি এটি অস্বচ্ছতার একটি চূড়ান্ত জায়গা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছা কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল, এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। রাজনৈতিক দল এভাবে চলতে পারে না। আবার আর্থিক স্বচ্ছতা নেই বলেই রাজনৈতিক দলগুলোতে মনোনয়ন-বাণিজ্যসহ নানারকম দুর্নীতি ও লেনদেনের কথা আমরা শুনি।
তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক কাঠামোয় পরিবর্তন দরকার। ক্ষমতাকেন্দ্রীভূত হয়েছে সাংবিধানিকভাবে একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। একই ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে দলের নেতা, তিনিই প্রধানমন্ত্রী, তিনি সংসদ নেতা। এভাবে ক্ষমতা এককেন্দ্রিক করে ফেলা রাজনৈতিক দলের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাংগঠনিক কাঠামোগুলো এমনভাবে তৈরি করা দরকার, যাতে এককেন্দ্রীকরণ না হয়।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুটি দলের ক্ষেত্রেই এই এককেন্দ্রিকতা দেখা যায়। আর এ কারণে দলের প্রধান ছাড়া অন্য কেউ আর জনগণের কাছে জবাবদিহির মধ্যে থাকে না। প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যায়, এবারের ছাত্র আন্দোলনে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব ক্রমাগতভাবে বিস্তারিত হয়েছে। প্রথমে ছয়জন, তাদের যখন আটক করা হলো, তখন নিচ থেকে আরও নেতৃত্ব উঠে এসেছে। তারা দলের নেতৃত্বের পদ্ধতিটাই এমনভাবে তৈরি করেছে। তারা আন্দোলনের কৌশল হিসেবে বিষয়টি দেখিয়েছে, সাংগঠনিকভাবেও ঠিক এমনটাই হওয়া দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার করতে হলে এ তিনটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি। তবে আমি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এ সংস্কার শব্দটি পছন্দ করছি না। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই—রাষ্ট্রের পুনর্গঠন দরকার। সমগ্র রাষ্ট্রটাকেই পুনর্গঠন করতে হবে।
রাষ্ট্রের কোন জায়গাগুলোয় পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আলী রীয়াজ: রাষ্ট্রের কয়েকটি বেসিক ভিত্তি রয়েছে, সেখান থেকেই সংস্কার শুরু করতে হবে। যেমন, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। বিচার বিভাগকে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুনর্গঠন করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র পূর্ণাঙ্গতা পাবে না।
অন্যদিকে নির্বাহী বিভাগ বলতে জনপ্রশাসনকে বোঝানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন কীভাবে চলবে, কারা দায়িত্ব নিচ্ছে, তাদের জবাবদিহির জায়গা রয়েছে কি না, তাদের আনুগত্য কার কাছে—প্রত্যেকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রশাসন কি সংবিধানের প্রতি অনুগত নাকি কোনো ব্যক্তির কাছে অনুগত সেটা পরিষ্কার হতে হবে। এভাবে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে হবে।
আপনি সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলছেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন কি?
আলী রীয়াজ: আজ বাংলাদেশে যে সংবিধানটি রয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশ আমরা সংশোধন করতে পারব না। আর এ কাজটি যে সংসদ করেছে, সেই সংসদ এটা করতেই পারে না। যদি সেই সংসদ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়েও ক্ষমতায় এসে থাকত, তবুও তাদের সেটা করার অধিকার ছিল না। মানুষ যখন একটি দলকে ভোট দেয় তখন তাদের মাত্র দুই-তিন বা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় নিয়ে আসে। চিরদিনের জন্য আনে না।
সংবিধানের ১১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির অধীন। আবার এর আগে-পরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কিছু করতে পারবেন না। তাহলে বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকল কোথায়? এ সংবিধানেই বিচার বিভাগকে তুলে দেওয়া হচ্ছে নির্বাহী বিভাগের হাতে আবার সেই নির্বাহী বিভাগ এক ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন। অর্থাৎ বিচার বিভাগটি এক ব্যক্তির হাতে দেওয়া হয়ে যায়।
এ সংযোগগুলো আলাদা করতে হলেও সংবিধানকে নতুন করে লিখতে হবে। আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যায়। বাংলাদেশের এখনকার সংবিধানে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেই আবার বলা হচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একেবারেই নিরঙ্কুশ নয়। যুক্তিযুক্ত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে স্বাধীনতার চর্চা করতে হবে। এরকম অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক কথাবার্তা রয়েছে। এগুলো সংশোধন করতে শুধু একটি-দুটি বাক্য বদলালে হবে না। এজন্যই আমি সংবিধানকে পুনর্লিখনের কথা বলছি।
এ সংবিধানে হয়তো এমন অনেক কিছুই রয়েছে যেগুলো পুনর্লিখনের পরও রেখে দেওয়া যাবে। আবার এমন অনেক কিছুও রয়েছে যেগুলোকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। সবাই মিলে আলোচনা করে একটি নতুন কাঠামো এবং একটি নতুন টেক্সট তৈরি করতে হবে।
সংবিধান নতুন করে লেখার জন্য আপনি গণপরিষদের কথা বলছেন। গণপরিষদ কেন প্রয়োজন এবং সেখানে কারা কোন প্রক্রিয়ায় আসবে বলে মনে করেন?
আলী রীয়াজ: সংবিধান তৈরি করার অধিকার একমাত্র গণপরিষদেরই আছে। আমি আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনা করে সংবিধান পুনর্লিখনে তাদের প্রস্তাব পেশ করবে। কারণ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের এবং রাজনৈতিক দলের। এখন আমরা যে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা দেখছি, এটা সাময়িক। এ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, ক্ষমতায় আসেনি। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে, এ সরকার সূচনা করতে পারে কিন্তু এককভাবে সবকিছু করতে পারবে না।
সাংবিধানিক গণপরিষদ গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। আগামী নির্বাচনটি সাংবিধানিক গণপরিষদের নির্বাচন হতে পারে। হতে পারে সেটা তিন বা ছয় মাসের জন্য। এ নির্বাচনের জন্য বড় কিছুর দরকার নেই। এ নির্বাচনের জন্য দরকার হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। এমনকি এ ধরনের নির্বাচনে জাতিসংঘের অংশগ্রহণের ইতিহাসও রয়েছে।
একটি সাংবিধানিক গণপরিষদ তৈরি হলে তাদের কাজ হবে সংবিধানের একটি ড্রাফট তৈরি করা। এরপর সেটা মানুষের সামনে উন্মুক্ত করা যেতে পারে এবং মানুষের মতামত নেওয়া যেতে পারে। অধিকাংশ মানুষ যদি মনে করে হ্যাঁ, নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য তাহলে সেটা গৃহীত হবে। আর মানুষ যদি গ্রহণযোগ্য মনে না করে তাহলে গণপরিষদ ড্রাফট সংশোধন করতে পারে অথবা পুরোনো সংবিধানের ফিরে যাওয়ার সুপারিশ করতে পারে।
সাংবিধানিক গণপরিষদ তৈরির জন্য নির্বাচন করা কোনো দুরূহ কাজ নয়। কিন্তু এর জন্য প্রথমেই দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করা। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তার ফলে আগের সংবিধান থাকতে পারে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্যই নতুন সংবিধান দরকার।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা দেখছেন কি?
আলী রীয়াজ: রাজনৈতিক দলগুলোর কথাবার্তায় এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি যে, তারা রাষ্ট্রের পুনর্গঠন করতে চান বা সংস্কার করতে চান। তবে অন্তর্বর্তী সরকারে যারা রয়েছেন তারা উৎসাহী ও আগ্রহী। অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো সংস্কার করতে চান বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজনৈতিক দলগুলো কখনো কখনো সংস্কারের কথা বলছে কিন্তু তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার চাইল আর রাজনৈতিক দলগুলো দেখা করে কিছু কথা বলে চলে এলো এমনটা হলে হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমার আহ্বান, আপনারা জনগণের ম্যান্ডেট বুঝুন। এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিন এবং আপনারাও নিজেদের বদলান। স্বচ্ছতার প্রথম ধাক্কাটা এখানেই আসুক। আপনারা কী চান সেটা জনগণের সামনে স্পষ্ট করুন। আপনারা স্বচ্ছতা তৈরি করুন। আলাপ-আলোচনা করুন এবং শুধু সংস্কার সংস্কার না বলে সুস্পষ্ট ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করুন। আপনারা কী কী করতে চান, তা জনগণের সামনে তুলে ধরুন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা তৈরি করতে পারছে না কেন? ৭১-এর পর বাকশাল, একাধিকবার সামরিক শাসন, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইত্যাদি হয়েছে—
আলী রীয়াজ: আমাদের রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াটি অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কোনো উপায় নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সব দেশই এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবসময় বলা হয়, দেশে এখনো পারফেক্ট ইউনিয়ন তৈরি হয়নি। প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট সেটা মনে করিয়ে দেন।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে তা হলো, এ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো তৈরি করা হয়নি। একটি দেশ টিকে থাকে কতগুলো পিলারের ওপর। এ পিলারগুলো তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই স্থায়ী হতে পারে না। আমাদের পাশের দেশ ভারতে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার অনেক কিছু করার পরও সে দেশের গণতন্ত্র এখনো টিকে থাকার অন্যতম কারণ শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ফলে সমস্যাটি থেকে গেছে।
অনেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার কথা বলছেন। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
আলী রীয়াজ: দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি সরকারে পাঁচ বছরের জায়গায় চার বছর মেয়াদের পক্ষপাতী। যদি চার বছরের জন্য সংবিধানে একটি নিম্নকক্ষ তৈরি হয় এবং দুই বছর যাওয়ার পর একটি উচ্চকক্ষ তৈরি হয়, তাহলে জবাবদিহির জায়গাটা অনেক বাড়বে। নিম্ন কক্ষে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তারা ভালো কাজ না করলে দুই বছর পর জনগণ তাদের উচ্চকক্ষে যেতে ভোট দেবে না। বরং বিরোধী দলকে দেবে। এভাবে একটি সিস্টেম দাঁড়ালে সেটা কাজে দেবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একই দলকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে না আসার একটি প্রবণতা রয়েছে। ফলে নিম্নকক্ষে যদি একটি দল ক্ষমতায় এসে ভালো কাজ না করে, তাহলে দুই বছর পর উচ্চকক্ষে বিরোধী দলের জেতার সম্ভাবনাই বেশি।