শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
তিন মাসের ব্যবধানে দুই প্রধানকে হারাল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গত সেপ্টেম্বরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। এরপর গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) নিহত হয়েছেন নতুন কান্ডারি ইয়াহিয়া সিনওয়ার। পরপর দুজন প্রধান হত্যার ফলে হামাসের নতুন প্রধানকে নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনার তৈরি হয়েছে।
হামাসের দুজন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, অচিরেই প্রধান নেতার উত্তরসূরি বেছে নিতে আলোচনা শুরু হবে। বর্তমানে সিনওয়ারের ডেপুটি খলিল আল-হায়া এবং আরেকজন সিনিয়র নেতা এ তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন।
জানা গেছে, আল হায়া বর্তমানে কাতারে রয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের নেতৃত্ব দিচেছন। গাজা নিয়ে তার গভীর জ্ঞান, সংযোগ ও বোঝাপড়া রয়েছে। গত আগস্ট থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হামাস নেতা সালেহ আল-আরৌরির উত্তরসূরি তিনি।
পরপর দুই কান্ডারিকে হত্যার পরও যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে নিজেদের শর্ত থেকে এক চুল বিচ্যুত হয়নি হামাস। গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার, শত্রুতার অবসান, মানবিক সাহায্য হস্তান্তর এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনের দাবি অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তারা হামাসের আত্মসমর্পণের বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে।