মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবি করে ২০টি পরামর্শ দিয়েছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। এগুলোর মধ্যে একই ধরনের সেবার জন্য বিভিন্ন লাইসেন্সের বদলে সমন্বিত লাইসেন্স প্রদান, মোবাইল কল রেট সিলিং উঠিয়ে নেওয়া, তথ্য সুরক্ষায় ‘ডাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ গঠন, আইওটি ডিভাইসের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের মতো পরামর্শ অন্যতম।শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব পরামর্শ তুলে ধরেন তারা।প্রযুক্তিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক টিপাপ (টেক ইন্ডাস্ট্রি পলিসি অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম)-এর উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার : নতুন করে যাত্রা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় শতাধিক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) নবনিযুক্ত কমিশনার মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। টিপাপ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়কারী ও বিডিজবস প্রধান ফাহিম মাসরুরের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় প্রযুক্তি শিল্পের পক্ষ থেকে ২০টি পরামর্শ তুলে ধরেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফিদা হক এবং দিদারুল ভূঁইয়া।আলোচনা সভায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান বলেন, তার প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুতই ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি বিজনেস অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল তৈরি করবে যাদের পরামর্শে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে।বিটিআরসি কমিশনার মাহমুদ হোসেন বলেন, বিটিআরসির নেতৃত্বে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যমান একচেটিয়া লাইসেন্স ব্যবসার কথা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এছাড়া ডাটা ও কল রেট কমানোর ব্যাপারে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই বেশ কিছু সংস্কার দৃশ্যমান হবে। তিনি বিটিআরসির স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করে বলেন, গত সরকার টেলিকম মন্ত্রণালয়কে ক্ষমতা দিতে গিয়ে বিটিআরসিকে অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর করে ফেলেছে। এ সময় টেলিকম বিশেষজ্ঞ মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীকে ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার জন্য নানা ধরনের কৃত্রিম স্তর তৈরি করে বিশেষ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সময় এসেছে সমন্বিত একক লাইসেন্স পদ্ধতি প্রবর্তন করার।ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) বিষয়ক উদ্যোক্তা বন্ডস্টাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ বলেন, বর্তমানে আইওটি ডিভাইসের উপর শুল্ক থাকার কারণে আইওটি ও এর আনুষঙ্গিক শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। অন্যরকম গ্রুপের প্রধান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, গুণগতমানের আইসিটি শিক্ষা বা ট্রেনিং না দেওয়া গেলে প্রযুক্তি খাত নিয়ে বেশি দূর এগোনো যাবে না।সঞ্চালকারী ফাহিম মাশরুর বলেন, গত এক দশকে প্রযুক্তি খাতে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে তাতে শুধু কিছু দালানকোঠা তৈরি হয়েছে। কোনো কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। নতুন সরকারের সবচেয়ে বড় গুরুত্ব হওয়া উচিত তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি।