মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দাবি…

চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং চাকরি পুনর্বহাল করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সহযোদ্ধা কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের পক্ষে তাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সামরিক বাহিনীর কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে সামরিক বাহিনীতে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগের মাধ্যমে শত শত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করেছে। বঞ্চিত করেছে প্রাপ্য পেনশন থেকে। এমনকি জোর পূর্বক ইউনিট কোয়ার্টার গার্ড ও তথাকথিত আয়নাঘরে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে এখনো ব্রিটিশ সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে, যা যুক্তিহীন। এই আইনের ধারায় নানা সময়ে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ বিভিন্ন খাত সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেখানে সেনাবাহিনীর এই ব্রিটিশ সামরিক আইনও সংস্কার করা উচিত।এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পরিবারে বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বা সামান্য ভুল পেলেই তাকে ইস্যু করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা চরম বৈষম্যমূলক।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সামরিক বাহিনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈষম্য হলো, যেখানে নৌ ও বিমানবাহিনীর একজন সদস্য তার সিনিয়রকে স্যার বলে সম্বোধন করে, সেখানে সেনাবাহিনীতে শুধুমাত্র কমিশন ও জুনিয়র কমিশন অফিসার ব্যতীত অন্য সিনিয়রদেরকে স্টাফ ও ‘ওস্তাদ’ বলে সম্বোধন করে থাকে। সেনাবাহিনীর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ও স্বনামধন্য বাহিনীতে এই ধরনের শব্দচয়ন অত্যন্ত বেমানান। আমরা এই বৈষম্যেরও নিরসন চাই।সংবাদ সম্মেলনে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১. চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে। ২. যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পূর্ণ বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে ওই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে। ৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্করণ করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন চাকরিচ্যুত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান, নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মো. আব্দুল হাকিম, বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মো. কোরবান আলী, নৌবাহিনীর সদস্য রিয়াজুল করিম মজুমদার, বিমানবাহিনী সার্জেন্ট রেজা, সেনাসদস্য আল আমিন, সেনাসদস্য সার্জেন্ট বাশার ও বিমানবাহিনীর সদস্য তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং চাকরি পুনর্বহাল করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সহযোদ্ধা কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের পক্ষে তাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সামরিক বাহিনীর কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে সামরিক বাহিনীতে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগের মাধ্যমে শত শত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করেছে। বঞ্চিত করেছে প্রাপ্য পেনশন থেকে। এমনকি জোর পূর্বক ইউনিট কোয়ার্টার গার্ড ও তথাকথিত আয়নাঘরে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে এখনো ব্রিটিশ সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে, যা যুক্তিহীন। এই আইনের ধারায় নানা সময়ে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ বিভিন্ন খাত সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেখানে সেনাবাহিনীর এই ব্রিটিশ সামরিক আইনও সংস্কার করা উচিত।এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পরিবারে বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বা সামান্য ভুল পেলেই তাকে ইস্যু করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা চরম বৈষম্যমূলক।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সামরিক বাহিনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈষম্য হলো, যেখানে নৌ ও বিমানবাহিনীর একজন সদস্য তার সিনিয়রকে স্যার বলে সম্বোধন করে, সেখানে সেনাবাহিনীতে শুধুমাত্র কমিশন ও জুনিয়র কমিশন অফিসার ব্যতীত অন্য সিনিয়রদেরকে স্টাফ ও ‘ওস্তাদ’ বলে সম্বোধন করে থাকে। সেনাবাহিনীর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ও স্বনামধন্য বাহিনীতে এই ধরনের শব্দচয়ন অত্যন্ত বেমানান। আমরা এই বৈষম্যেরও নিরসন চাই।সংবাদ সম্মেলনে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-

১. চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পূর্ণ বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে ওই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।

৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্করণ করতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন চাকরিচ্যুত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান, নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মো. আব্দুল হাকিম, বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মো. কোরবান আলী, নৌবাহিনীর সদস্য রিয়াজুল করিম মজুমদার, বিমানবাহিনী সার্জেন্ট রেজা, সেনাসদস্য আল আমিন, সেনাসদস্য সার্জেন্ট বাশার ও বিমানবাহিনীর সদস্য তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১