বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির স্থায়ী বহিষ্কার ও তাকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা হলে ‘রংপুর ব্লকেড’ ও ‘লং মার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার অফিস’ কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে (১ নং গেট) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা ।শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ আবু সাঈদসহ শহীদদেরকে যে কটূক্তি করেছে আমরা তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানান দিতে চাই আবু সাঈদ শহীদ হলেও তার সহযোদ্ধারা এখনো বাংলার মাটিতে আছে। তাকে নিয়ে কটূক্তি করলে আমরা সেটি মেনে নেব না। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। নতুবা আমরা কঠোর অবস্থান নিব।শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসসরা আছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। তা না হলে উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা এসব কথা কেমন করে বলতে পারে। আমাদের ছাত্র সমাজকে এসব দোসরের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। শহীদ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদের আত্মত্যাগ সারা দেশবাসী দেখেছে কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা তাকে সন্ত্রাসী বলেছে। ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুক পোস্টে আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ঊর্মি লেখেন, ‘মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃঙ্খলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়ল সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে!’ঊর্মি আরও লেখেন, ‘আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসীর জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদে কেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দালাল হয়ে গিয়েছি এ কথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।এই যে একটা সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো তার দায়ভার কী এই অথর্ব সমাজ নেবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুর। লালমনিরহাট থেকে এই উপদেষ্টা দলের জন্য আবার পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের বাকি সাত জেলা থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়েছে।’আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি আরও লেখেন, ‘এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়িবহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেল তার তেল খরচ কে দিয়েছে? যাই হোক, ভিডিওটা দেখুন। ভালো মতো দেখুন আর মুখস্থ করুন। আর কী বলব!’এরইমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) তাপসী তাবাসসুমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির স্থায়ী বহিষ্কার ও তাকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা হলে ‘রংপুর ব্লকেড’ ও ‘লং মার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার অফিস’ কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে (১ নং গেট) অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা ।শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ আবু সাঈদসহ শহীদদেরকে যে কটূক্তি করেছে আমরা তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানান দিতে চাই আবু সাঈদ শহীদ হলেও তার সহযোদ্ধারা এখনো বাংলার মাটিতে আছে। তাকে নিয়ে কটূক্তি করলে আমরা সেটি মেনে নেব না। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। নতুবা আমরা কঠোর অবস্থান নিব।শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসসরা আছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। তা না হলে উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা এসব কথা কেমন করে বলতে পারে। আমাদের ছাত্র সমাজকে এসব দোসরের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।

শহীদ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদের আত্মত্যাগ সারা দেশবাসী দেখেছে কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা তাকে সন্ত্রাসী বলেছে। ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুক পোস্টে আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ঊর্মি লেখেন, ‘মানে কত বড় বোকার স্বর্গে আছি এইটা শুধু চিন্তা করি। আবু সাইদ! বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, সন্ত্রাসী একটা ছেলে যে কী না বিশৃঙ্খলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতেই মারা পড়ল সে নাকি শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে!’ঊর্মি আরও লেখেন, ‘আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসীর জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদে কেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দালাল হয়ে গিয়েছি এ কথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।এই যে একটা সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো তার দায়ভার কী এই অথর্ব সমাজ নেবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুর। লালমনিরহাট থেকে এই উপদেষ্টা দলের জন্য আবার পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের বাকি সাত জেলা থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়েছে।’আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি আরও লেখেন, ‘এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়িবহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেল তার তেল খরচ কে দিয়েছে? যাই হোক, ভিডিওটা দেখুন। ভালো মতো দেখুন আর মুখস্থ করুন। আর কী বলব!’এরইমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) তাপসী তাবাসসুমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০