বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফেরি সেফটি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএফএসএ)-এর বিশ্বজুড়ে পরিচালিত নিরাপদ ফেরির নকশা এবং পরিচালনার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ইন্দোনেশিয়ার সেপুলুহ নোপেম্বের ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইটিএস)।জানা যায়, এবারের ১১তম আসরে বুয়েটের নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবায়ের ইবনে আওয়ালের তত্ত্বাবধানে ৭ সদস্যের ‘টিম ব্লাক পার্ল’ অংশগ্রহণ করে। এই টিমের সদস্যরা হলেন- মো. আব্দুল কাদের (টিম ক্যাপ্টেন), ইমন ঘোষ প্রান্ত, সাইয়েদ সাদিক সিদ্দিকী, মিনহাজুল ইসলাম, মো. সাফায়েত হোসেন শিশির, আবু রাসেল ও সামিউন মুনতাসির সিয়াম। গত ৫ আগস্ট অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। পুরস্কার প্রদান করা হবে আগামী ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবর।অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবারের মতো এবারও নির্দিষ্ট রুটের জন্য নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব নৌযানের নকশা তৈরির প্রতিযোগিতা হয়। এ বছর অংশগ্রহণকারীদের চ্যালেঞ্জ ছিল নাইজেরিয়ার নাইজার নদীতে Ndoni-Idah (১৯০ কিমি) ঘাটের মধ্যে চলাচল উপযোগী একটি RoPax (রোপ্যাক্স) ফেরির ডিজাইন করা, যা ১৫০-২০০ প্যাসেঞ্জার, ১৫-২০টি চার চাকার গাড়ি ও একইসঙ্গে কৃষিপণ্য পরিবহন করতে সক্ষম। নদীর ভূতাত্ত্বিক অবস্থা যেমন- সরু চ্যানেল, সীমিত নাব্য, বিপদজনক ছোট পাথর, ভাসমান কাঠ ও কচুরিপানার উপস্থিতির পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন শর্ত যেমন, কোনো এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না, প্রপালশন সিস্টেমটি পরিবেশবান্ধব হতে হবে ইত্যাদি ডিজাইন প্রক্রিয়াটাকে আরও চ্যালেন্জিং করে তুলেছিলো।টিম ব্লাক পার্ল’ এই চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। টিম ক্যাপ্টেন মো. আব্দুল কাদের বলেন, আমরা সমস্যা চিহ্নিত করে উদ্ভাবনী ও কার্যকরী সমাধান খোঁজেছি। উদাহরণস্বরূপ- কচুরিপনা, ভাসমান কাঠ ও পাথর থেকে ফেরিকে রক্ষা করতে আধুনিক টিলটেবল প্রপেলারে অতিরিক্ত প্রটেকশনের ব্যবস্থা করেছি এবং জাহাজের কাঠামো শক্তিশালী করেছি। ফেরিটিকে পরিবেশবান্ধব করতে ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেমের সঙ্গে হাইড্রকাইনেটিক টার্বাইন যুক্ত করেছি, যা পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। সাধারণ সোলার প্যানেলের পরিবর্তে পেরোভস্কাইট সোলার সেল ব্যবহার করেছি, যা বেশি কার্যকর।