বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

জবির ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের বাকি ৭ লাখ টাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়া থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফাও খাওয়া ও বাকি খাওয়ার তথ্য পাওয়া যেত মাঝেমধ্যে। তবে এতদিনে ভয়ে মুখ খুলেনি কেউ। এখন ক্যাম্পাসছাড়া জবি ছাত্রলীগ, বেরিয়ে আসছে বাকি খাওয়ার তথ্য। গেলো আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে ৭ লাখ টাকার মত বাকি খেয়েছে। পরবর্তীতে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানায়, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ ছাড়াও বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত ৫ নেতা-কর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরও ২ নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই ৭ নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরও অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিতো না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন। তিনি আরও বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এতো টাকা এখন কিভাবে উঠাবো আর কিভাবে আমি এই লস পূরণ করব? অভিযোগের বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়া থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফাও খাওয়া ও বাকি খাওয়ার তথ্য পাওয়া যেত মাঝেমধ্যে। তবে এতদিনে ভয়ে মুখ খুলেনি কেউ। এখন ক্যাম্পাসছাড়া জবি ছাত্রলীগ, বেরিয়ে আসছে বাকি খাওয়ার তথ্য। গেলো আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে ৭ লাখ টাকার মত বাকি খেয়েছে। পরবর্তীতে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানায়, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা।


এ ছাড়াও বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত ৫ নেতা-কর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা।

সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরও ২ নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই ৭ নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরও অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিতো না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এতো টাকা এখন কিভাবে উঠাবো আর কিভাবে আমি এই লস পূরণ করব?

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০