বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
গাজী আরিফুর রহমান, বরিশালঃ
তিন সন্তানের জননী বিধবা দাদিকে দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে বিয়ে করেছেন মো. মিরাজ (২৩) নামে এক যুবক। আর এ বিয়েতে দেনমোহর দিয়েছেন ৭ লাখ টাকা। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে বরিশালের ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে।
বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাদের এক নজর দেখতে বুধবার (৩১ মে) থেকে বিয়ে বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রতিটি স্ত্রীকেই শাহে আলম আলাদা করে বাড়িঘর ও জমি করে দিয়েছেন। দেড় বছর আগে শাহে আলম মারা যান। এরপর তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়লে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন মিরাজ।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রায় সময় দাদির সামসুন্নহারের বাড়িতে মিরাজ যাতায়াত করতে থাকলে এলাকায় তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য শুরু হয়। এ কারণে মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা সদরে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এরপর সেদিনই তারা কাজির মাধ্যমে ফের বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়ে মিরাজ বলেন, “মানুষ কী বলল সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি কোনো পাপ করিনি, বিয়ে করেছি। বর্তমানে আমারা সুখে সংসার করছি।”
মিরাজের স্ত্রী সামসুন্নাহার বেগম বলেন, “মিরাজ ও আমি দুজনের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেছি। তবে মিরাজের বাবা-মা আমাদের বিয়ে নিয়ে একটু অসন্তুষ্ট। কিন্তু ঝামেলা নেই। বিয়ের পর মিরাজ আমার বাড়িতেই আছে। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। এ ছাড়া, মিরাজ মাছ ধরে। এতেই চলে যাবে।”
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি,জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি। বিয়ের বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”