মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
কুয়াকাটায় পৌর এলাকায় খাল ভরাট করে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হাউজিং ব্যবসায়ী ডিবিএল কোম্পানির বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার সাথে অশোভন আচরণ করে দখলদাররা।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নির্মাণাধীন বাউন্ডারি ওয়ালের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন এবং ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম কে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এসময় ডিবিএল কোম্পানির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক সরকারি জমি চিহ্নিত করে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়।
জানাগেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ১ একর ৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দখলে নেয়।
যেখানে আগে পানি নিষ্কাশনের খাল ছিল। ওই খাল ভরাট করে দখলে নেয় ডিবিএল কোম্পানি। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজ একাধিকবার বন্ধ করে দেয়। বাধা অমান্য করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ওই কোম্পানিটি রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ডিবিএল কোম্পানির দুই পাহারাদারকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিবিএল কোম্পানি খাল ভরাটের পাশাপাশি অপর একটি খালের মাঝখানে বিশাল বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সরকারি জমি দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বারেক শরীফ,জাহিদ শরীফ, নজরুল শরীফ,ধলু খলিফা,আজিজ খলিফা সহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ডিবিএল কোম্পানি সরকারী খাল ভরাট করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছিল। এসময় তারা বাধা দিলে তাদেরকে মামলা সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
এবিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে ওই কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ডসহ কয়েকজন তার সাথে অশোভন আচরণ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জমি দখলের বিষয় বলেন, ডিবিএল কোম্পানি খাল ভরাট করে ১ একর ৩২ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করে নেয়। রাতের আধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে।
বর্তমানে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ডিবিএল কোম্পানি কোন অনুমোদন ছাড়াই বাউন্ডারি ওয়াল সহ জমির আকার আকৃতি পরিবর্তন করে। যা সম্পুর্ণ অবৈধভাবে করা হয়েছে। ওই জমিতে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।