মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
পটুয়াখালীতে বিএনপির ডাকা জনসমাবেশে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ৬৩ জনের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা রয়েছে আরও অন্তত ৬৫০ জনকে।
এ অবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে বিএনপির ৯০ শতাংশ নেতাকর্মী এখন ঘরছাড়া। ২১ মে দুপুরে সদর থানায় করা মামলার বাদী সদর থানার এসআই বিপুল হালদার। অপর দুটি মামলার একটি করেন বিএনপির হামলায় গুরুতর আহত পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন হাওলাদার এবং অপরটি বরগুনা জেলার বেতাগীর মাহাফুজুর রহমানের ছেলে রায়হান হোসেন।
এদিকে পুলিশের মামলায় সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুজনকে আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যকর্মীরা। তবে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়াটাই চূড়ান্ত নয়, তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কোনো নির্দোষ ব্যক্তি অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না।
পুলিশের মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামির তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেহাংশু সরকার কুট্টি, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, বিএনপির প্রয়াত সংসদ নেতা শাহজাহান খানের ছেলে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রিমানুল ইসলাম রিমু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বশার উজ্জ্বল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকারিয়া আহম্মেদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতের তালিকায় বিএনপির আরও আড়াইশ’ নেতাকর্মী রয়েছেন। এছাড়া অপর দুটি মামলায় পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির মুন্সি, পৌর বিএনপির নেতা মনিরুল ইসলাম সুজন সহ ৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।