মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গত ৩ এপ্রিল (সোমবার) পবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত’র অনুমোদনক্রমে পবিপ্রবির পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিজিপিএ ও জিপিএ মানদণ্ড তুলে দিয়ে মাষ্টার ডিগ্রী প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ প্রদান করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরবর্তীতে আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে এই স্বিদ্বান্ত বাতিল বলে ঘোষণা করে পবিপ্রবি প্রশাসন।
এমন স্বিদ্বান্তে উত্তপ্ত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ভিসি সহ পবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
হঠাৎ কেনো এমন স্বিদ্বান্ত? এক দিনের মধ্যেই কি এমন ঘটনার রেসে বদলে গেলো স্বিদ্বান্ত? এ পেছনে রয়েছে কাদের ইন্দোন? এমন প্রশ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, হঠাৎ কেনো এই স্বিদ্বান্ত? কাদের ইন্দোনে এমন স্বিদ্বান্ত গ্রহন করলো বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন? আমরা এর জবাব চাই এবং দ্রুত পূর্বের স্বিদ্বান্ত বহাল না হলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে এক মূহুর্ত ভাববো না।
পবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী সুরিত বলেন, আমাদের বহু চেষ্টার পরে পবিপ্রবি প্রশাসন স্বিদ্বান্ত নেন যে আমরা এখান থেকেই স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারবো৷ পরবর্তিতে আবার এই স্বিদ্বান্ত পরিবর্তন করা হয়। কেনো এমন করা হলো? পূর্বের স্বিদ্বান্ত আবার কার্যকর করা না হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠিন আন্দোলনে যাবো৷
এ বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল হক জানান, ভাইস-চ্যান্সেল মহোদয়ের অনুমতিক্রমে এ স্বিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।
এ বিষয়ে পবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত’র সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।