শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোঃ আবুল বাসার নাসিরের বিরুদ্ধে জমিজমার জের ধরে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদার (৭৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এনিয়ে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদার জানান, সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান নাসির বাপ্পি নামের এক ছেলেকে বাসায় আমাকে ডাকতে পাঠায়। এশার নামাজ আদায় শেষে মির্জাগঞ্জ থানা সংলগ্ন চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে গেলে তিনি আামকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনার বাসার পার্শ্বে আমি জমি ক্রয় করেছি তাতে আপনার বাসার ভিতরের জমিও পড়ছে,সে জমি ছেড়ে দিতে হবে। এ কথা শোনার পরে আমি তাকে বললাম ১৯৯৯ সনে আমি জমি ক্রয় করে আমার অংশে বাউন্ডারি টেনে দিয়েছি। কথা শেষ হতেই এমন চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন বাউন্ডারি টানলেই কী জায়গায় দখল দেওয়া যায়, তুই আমকে চিনিস!?, ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে। আমি এর প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আবুল বামার নাসির উঠে আমার জামার কলার ধরে আমাকে মারধর করতে শুরু করে, এসময় অফিসে উপস্থিত তার ৫/৭ জন লোকও আমাকে কিল ঘুসি মারতে থাকে। আমি দৌড়ে একটি রিকশায় উঠে বাসায় আসি।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদার রাজারবাগের পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা, যার গেজেট-৪৫০, আইডি নং-০১৭৮০০০১১১৭, লালমুক্তি বার্তা নং – ০৬০৩০৬০০৮৫। তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আবুল বাসার নাসির হাওলাদার বলেন, তাকে মারধর করিনি কিন্তু তার সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা বলেছি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে পিতৃসমতুল্য একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেনে নিতে পারছিনা, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি (দায়িত্বরত) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। মির্জাগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।