মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য, রুগী ও পথচারীরা বিপাকে

ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য, রুগী ও পথচারীরা বিপাকে

হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীঃ
রাজশাহী শহরের ব্যাস্ততম এলাকা লক্ষিপুরের মোড়। এই এলাকায় চিকিৎসা সেবাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সরকারি হাসপাতাল সহ বহু বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ক্লিনিক পাড়া নামে পরিচিত এই এলাকায় রাজশাহী শহর ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার লোকজন আসে চিকিৎসা সেবা নিতে।

সরকারি মেডিকেল হাসপাতাল ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রুগীরা ভীড় করে সেবা নেওয়ার জন্য। লক্ষিপুর মোড়ে রুগীকে কেন্দ্র করে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসী সহ আবাসিক ও অনাবাসিক হোটেল, ফলমূলের দোকান চা-সিগারেটের স্টল সহ বহু ধরনের ব্যবসা। রুগী ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে লক্ষিপুর মোড়ের রাস্তা প্রসস্ত করেছ কয়েক দফায়। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না লক্ষিপুর মোড়ের যানজট। আর যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে ফুটপাত দখল করে মোটর সাইকেল, কার পার্কিং সহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। এদিকে এই মোড়ে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হলেও গাড়ি পার্কিং এর ব্যাবস্থা নাই সবগুলোতে। ইসলামি হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতাল এর সামনে ফুটপাতে খুটি গেড়ে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা।

ইসলামি হাসপাতালের নতুন ভবনে গাড়ি পার্কিং এর ব্যাবস্থা থাকলেও সেটা শুধু মাত্র চিকিৎসক ও স্টাফদের জন্য ব্যাবহার হয়। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার গাড়ি পার্কিং এর খরচ বেশি আর সেখানেও ডাক্তার ও স্টাফদের প্রাধান্য বেশি। এদিকে লক্ষিপুর মোড়ে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল থাকে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের। যত্রতত্র ভাবে মোটরসাইকেল রেখে সকাল থেকে প্রায় মধ্যে রাত পর্যন্ত কাজ করে রিপ্রেজেনটেটিভ গন। রয়েল হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে রিপ্রেজেনটেটিভরা কোন কথায় শোনে না এসে মোটরসাইকেল রেখে ডাক্তার ভিজিট করে আর মোটরসাইকেল গুলো এভাবেই যত্রতত্র ভাবে ফুটপাতে ও রাস্তায় রাখা থাকে। অথচ কয়েকমাস থেকে লক্ষিপুর মোড়ে ইকো গ্যারেজ ও পদ্মা ডিজিটাল গ্যারেজ নামক ২ টা গ্যারেজ করা হয়েছে।

তারা ইচ্ছে করলেই মোটরসাইকেল গুলো সেখানে রাখতে পারে। যত্রতত্র ভাবে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে মোড়ে স্থানীয় লোকজনের নেতিবাচক প্রভাব ও আছে। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার অনির্বান চাকমার মতামত জানতে চাইলে তিনি ‘সংবাদ ২৪ ঘন্টা ‘কে বলেন “লক্ষিপুর মোড়ে গাড়ি পার্কিং না করে ঘোষ পাড়ার মোড় থেকে রাজীব চত্বর পর্যন্ত এ্যাম্বুলেন্স, কার, মাইক্রো পার্কিং করার জন্য নির্ধারন করা হয়েছে এবং আমার টিম সেটা করবে। এছাড়াও রিপ্রেজেনটেটিভদের মটর সাইকেল রাখার বিষয়ে রিপ্রেজেনটেটিভ সংগঠন ফারিয়ার সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ ৬ সদস্যের প্রতিনিধীদের সাথে আলোচনা করে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজের পাশের রাস্তায় এবং সুবিধা মতো স্থানে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।”

এছাড়াও ফুটপাত দখল করে তৃপ্তি হোটেল, ক্যাফেরাজ হোটেল, হাজি হোটেল, ঈমান হোটেল সহ সকল হোটেলের ইফতার বিক্রি, বিভিন্ন ফলমূলের দোকান কে ফুটপাত দখল মুক্ত করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন “ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের জন্য একেবারে অমানবিক ভাবে ফুটপাত দখল করে পথচারীদের চলাচলের অসুবিধা করাও উচিত না। ” ফুটপাত দখল ও রাস্তায় যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিং নিরসন হোক এবং চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রুগী ও জনসাধারনের সুবিধা হোক এটাই প্রত্যাশা করেন লক্ষিপুর মোড় এলাকার বাসিন্দা ও সকল দোকানদার।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১