বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীঃ
রাজশাহী মহানগরীর সপুরা এলাকায় খোরশেদা আক্তার বৃষ্টি নামে এক নারীর উপকারের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীর দেয়া দেনমোহরের পাঁচলক্ষ টাকা কেড়ে নিয়েছে কয়েকজন অসাধু ব্যাক্তি। টাকা উদ্ধারের জন্য ভুক্তভোগী বৃষ্টি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করলে সিটি কর্পোরেশন থেকে তাকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে বললে ভুক্তভোগী নারী খোরশেদা আক্তার বৃষ্টি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযোগের সাতদিন পেরিয়ে গেলেও তিন সন্তান নিয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুবিচার পাচ্ছেন না খোরশেদা আক্তার বৃষ্টি। বর্তমানে অভিযোগটি উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফের নিকট তদন্তানাধীন রয়েছে।
অভিযোগে খোরশেদা আক্তার বৃষ্টি উল্লেখ করেন, তার স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হবার কারনে স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায় এবং কাবিন নামায় বিবাহের সময় ধার্য় করা তিনলক্ষ টাকা মোহরানা ও দুই লক্ষ টাকার সমপরিমাণ স্বর্নের অলংকার দেওয়ার কথা ছিলো। তালাক হবার কারনে তার তালাক দেওয়া স্বামী বাগমারা উপজেলার ভবানিগঞ্জ নিবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক আপোষ মিমাংসা করে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আপোষ মিমাংসা লিখে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী বৃষ্টিকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেয়। নগদ টাকা বৃষ্টির সাথে আপোষ মিমাংসায় সহোযোগিতা করার জন্য তার পূর্ব পরিচিত আনোয়ার হোসেন আনান, শুভ ইসলাম, শামিম, জুবায়ের হোসেন, মোসা: ফারিয়া সহ আরও ৪/৫ জন আপোষ মিমাংসার জন্য সাথে যায়। এসময় তারা কৌশলে টাকা গোনার জন্য আনোয়ার হোসেন আনান বৃষ্টির হাত থেকে নিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দেয় এবং বলে বাসায় গিয়ে টাকা বুঝিয়ে দেবো বলে ভবানীগঞ্জ থেকে মধ্যে রাতে রাজশাহী ফিরে এসে সপুরা এলাকায় বৃষ্টিকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দিয়ে কৌশলে মোহরানার টাকা ছিনিয়ে নিয়েযায়।
মধ্যে রাতে বৃষ্টি তাদেরকে অনেক আকুতি মিনতি কান্নাকাটি করেও কোন টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। পরের দিন বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করলে হুমকি ধামকি শুনতে হয় বৃষ্টিকে। এমনকি তারা নিজেদের আওয়ামী লীগের নেতা ও ক্যাডার পরিচয় দিয়ে ভয় দেখায়। বাগমারা উপজেলার ভবানিগঞ্জ নিবাসী ভুক্তভোগী বৃষ্টির স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমার স্ত্রী বৃষ্টিকে তালাক দেয়ার সময় কাবিন নামায় বিবাহের সময় ধার্য় করা তিনলক্ষ টাকা মোহরানা আপোষ নামায় উল্লেখ করে ও দুই লক্ষ টাকার সমপরিমাণ স্বর্নের অলংকার বাবদ সর্বমোট পাঁচলক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করেছিলাম। পরে শুনি আনোয়ার হোসেন আনান, শুভ ইসলাম, শামিম, জুবায়ের হোসেন, মোসা: ফারিয়া সহ আরও ৪/৫ জন সেটাকাগুলো কেড়ে নিয়েছে তার কাছ থেকে।
তিনি আরো বলেন,আমি আমার স্ত্রী বৃষ্টিকে তালাক দিতে চায়নি । আনোয়ার হোসেন আনান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শুধু মাত্র এ টাকাগুলো আত্বসাত করার জন্য এমন ক্ষতি করেছে আমার ও আমার স্ত্রীর। আমি এদের বিচার কামনা করছি বলে বলেন তিনি।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন আনান বলেন, ৫লক্ষ টাকার বিষয়টি মিথ্য । সেখান থেকে দুই লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছিলো। আর সে টাকার বিষয় বৃষ্টির বান্ধবি ফারিয়া,শুভ এরা জানে । আমাকে এখানে ফাঁসানো হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরিফে বলে দেয়া হয়েছে। দ্রুতসময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।