বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
বেপড়োয়া গতিতে পিকআপ ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে ইকোনো এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস খাদে পড়ে রোজা বেগম (১০) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে ওই শিশুর বাবা-মাসহ অন্তত ২০ জন । আহতদের মধ্যে ১৭ পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
বুধবার ( ৮ মার্চ) ভোররাতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর উত্তর পাড়ে খলিশাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত রোজা কুড়িগ্রাম জেলার মুক্তারাম গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে। সে পোশাক শ্রমিক বাবা রিয়াজুল ইসলাম ও মা জেসমিন আক্তারের সঙ্গে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে আসার পথে এই দূর্ঘটনা ঘটে ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, রিয়াজুল ইসলামও (৩৫),জেসমিন আক্তার (৩০), জোনাইদ (১৩), মোঃ মাঈনউদ্দিন (৩৫), মুছা মিয়া (৫২), আজাহার মিয়া (৪৫), মোঃ সেলিম (৩৮), মো. ইব্রাহিম (৩৪), ইউনুস আলী (৪০), দুখরাম (৫০), মামুন মিয়া (৩৭), মো. ফারুক (৩৮), কামরুজ্জামান গিয়াস (৩৫),মোঃ নাজমুল হাসান (৩০), মোঃ জাকির হোসেন (৩৮), মোহাম্মদ মির্জা (৩৩) ও সুমন মিয়া (২৫)।
আহত বাসের যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে বাসটি ঢাকার আবদুল্লাপুর থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ভোররাতে পটুয়াখালী সেতুর উত্তর পাড় এলাকায় পৌছলে বেপড়োয়া গতিতে একটি পিকআপ ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রোজাকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান জানান, গাড়ির চালক ও হেলপার সহ আহত সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাসটি আটক করা
হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।