শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীঃ
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজশাহী সবসময় অবহেলিত ছিল। ২০০৯ থেকে গত ১৪ বছরে শুধু রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। রাজশাহী মহানগরে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আজ ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছি, ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এই প্রকল্পগুলো আপনাদের আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মানি লন্ডারিং করে টাকা পাচার করেছিল। তাদের পাচার করা ৪০ কোটি টাকা আমরা ফেরত এনেছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করি, কিন্তু এই রাজশাহীর অবস্থা কী ছিল? আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন। সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সে সময়ে প্রতিনিয়ত খুন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন হতো। এই রাজশাহীতে ফাহিমা, মহিমা, রাজুফা-কীভাবে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাহার হয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। তারা এটা ভুলে যায়। দেশ স্বাধীন না হলে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারতো না খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হতো পারতো না। সেই নৌকার উপরে এতো রাগ কেন?
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে মানুষ খাদ্যের নিশ্চয়তা পাচ্ছে, রোগের চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিচ্ছি, মা-বোনেরা সেখানে যেতে পারেন। বিনা পয়সায় ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদান করতে সকাল ৮ থেকেই মাঠে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকে। বেলা বাড়াতে থাকে সেই সাথে লোকজনের সমাগম বাড়তে থাকে। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে কানায় কানায় লোকজনে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের বাহিরে মাঠ ঘিরে প্রায় তিন- চার কিলোমিটার ঘিরে আগত নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান করেন। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় দশটি প্রোজেক্টার বসানো হয়, সেখানেই উপস্থিত জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনেন।