শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
আবু সাঈদ শাকিল, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা ,অজবাবদিহিতা এবং বিভিন্ন পদে অযোগ্য ও অদক্ষ লোকদের ব্যর্থতার কারণে সেশনজোট জেঁকে বসেছে তাই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কাঙ্খিত গতি ও দীর্ঘ লালিত উদ্দেশ্য হতে ক্রমান্বয়ে বিচ্যুত হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে সেশনজট নামক ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি এতে শিক্ষার্থীরা হতাশাগস্ত সময় পার করছে।
ইআবি অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের ভর্তি পরিক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৩০-১১-২০১৯ ইং তারিখে , আমি ভর্তি হয় ১১-১২-২০১৯ ইং তারিখে ভর্তির এক বছর পর ১ম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা হাওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। করোনার পর সকল ভার্সিটি পরিক্ষা নেওয়া শুরু করলেও আমাদের দুই বছর দুই মাস পর পরিক্ষা নেওয়া হয় যাইহোক পরিক্ষা নিয়েছে ভাল কথা রেজাল্টে এক মাস পর দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ অপেক্ষার পর তা ছয় মাস পর রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় ১ম ফাইনাল পরিক্ষা নেওয়ার পর থেকে আর কোন খোঁজ খবর নাই তাছাড়াও ঠিক মত ক্লাস হয় ভার্সিটি কোন বিষয়ে কোন নোটিশ দেওয়া হয় না জাতীয় দিবস পালন রুটিন ছুটি কিছুই নাই। আমি ইসলামি আবরি বিশ্ববিদ্যায়লে ভর্তি হয়ে মনে হয় ভুল করেছি যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেশনজটের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষ বারবার তাগিদ দিলেও অবহেলার কারণে লেগেই আছে সেশনজট। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সেশনজট তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায়, এই সেশনজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেশনজট দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ কে লস রিকভারি প্ল্যান গ্রহণ করতে এবং পরিক্ষা গুলো নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায় এবং তা না হলে মাবনবন্ধন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উপ-উপাচার্য বাস ভবন ঘেরাও করার হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।
সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার ও চাকরিজীবনের প্রতিযোগিতায় অনেক প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। ফলে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে যেমন: পড়ালেখার প্রতি অনীহা, হতাশাগ্রস্ত, উদ্যম ও আত্মবিশ্বাস হারিয়ে বিষণ্নতায় ভোগা। তাই সেশনজট নামক ভয়াবহ ব্যাধি রোধ করতে বা কমিয়ে আনতে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। উভয়কেই হতে হবে আন্তরিক ও যত্নশীল। এখনই বাস্তবতা বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র-শিক্ষক সব মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।