সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাঃ
দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামে পৌষের মাঝামাঝিতে ঠান্ডার প্রকোপ নাকাল জনজীবন। বোরো বীজতলা ও আলুসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এদিকে এ মাসের প্রথম সপ্তাহেই মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র।
বিকালের পর থেকে ঠান্ডা বাড়তে থাকে। কুয়াশায় সব ঘোলাটে হয়ে যায় সব। সকালে সূর্যের আলো দেখা যায় না।খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম সংকটে দিন পার করছে। রবিবার সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়া রেকর্ড করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন থেকে এ অঞ্চলে গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো গুঁড়িগুঁড়ি কুয়াশা পড়ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও কাহিল হয়ে পড়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতে। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। এ দিকে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় খড়-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। এমর বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক জলিল, জসিম ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের রহিম জানান, প্রচণ্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তরের জনপথে মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে