মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: বিএসইসি

শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: বিএসইসি

শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হবে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ফ্লোর প্রাইস একটি স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ। এটি স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নয়।

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত ২৬টি বীমা কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।

বৈঠকে তালিকাভুক্ত সাতটি ও অ-তালিকাভুক্ত ১৯টি বীমা কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এলআইসি (বাংলাদেশ), মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও সিকদার ইন্স্যুরেন্স।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ৩০ কোটি টাকার কম পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন ২৬টি বীমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয় বিএসইসি। এক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ইকুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এরই মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই ২৬ কোম্পানির শেয়ারবাজার বিনিয়োগ পরিস্থিতি তদারকির অংশ হিসেবে বুধবার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, ২৬ বীমা কোম্পানির মধ্যে যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্তির আবেদন করেছে বা আইপিও অনুমোদন পেয়েছে তাদের প্রত্যেকে ইকুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে, বৈঠকে সেটি নিশ্চিত করেছে। যারা এখনো আবেদন করেনি তাদের বিনিয়োগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তাদেররে ইকুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তারা যদি কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সহযোগিতা করা হবে। আইপিও আসার ক্ষেত্রে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ইতিবাচক থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েজে। এক্ষেত্রে ইপিএস কত হতে হবে এমন কোনো সীমা রয়েছে কিনা বীমা কোম্পানির পক্ষ থেকে সেটি জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে যে ধনাত্মক ইপিএস থাকলেই আইপিওতে আসা যাবে।

রেজাউল করিম আরো জানান, বর্তমানে শেয়ারবাজারে এ ২৬ বীমা কোম্পানির যে বিনিয়োগ আছে, সেটা কীভাবে আরো বাড়ানো যায় এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো আশ্বস্ত করেছে আগামী কয়েকদিন তারা বিনিয়োগ বাড়াবে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১