সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(রামেক) অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বিচার দাবির সাথে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন পুনরায় তাঁদের চাকরিতে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় ২৬ জন চাকরিচ্যুত আউটসোর্সিং এ কর্মরত ভুক্তভোগীরা এই মানববন্ধন করেন।
রামেক থেকে বিনা নোটিশ ও বিনা কারণে বহিঃষ্কার ভুক্তভোগীদের চাকুরিচ্যুত হয়েছে বলে দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এই মানববন্ধন আয়োজন করেন রামেক এর দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা।
মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা জানান, মেডিকেল পরিচালককে ম্যানেজ করে ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার বানিজ্যে মেতে উঠেছেন। করোনাকালীন সময়ে যেসব কর্মীরা রোগীদের সেবা করেছিলেন তাঁদের চাকরি টিকিয়ে রাখতে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেন অথবা অর্থ দাবি করেন নতুন ভাবে চাকুরিতে নিয়োগের জন্য। এছাড়াও কয়েকজনের নিকট থেকে ঘুষ নিয়েও চাকুরিচ্যুত করেন এই অলিখিত ক্ষমতার অধিকারী রাসেল মাষ্টার।
আরিফ, ফয়সাল, আওয়াল, উজ্জ্বল, লাকী বেগম, ডেইজী, সালেহাসহ ২৩ জনের বেশী ভুক্তভোগী এই মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে মেডিকেলের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।
লাকী নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমরা কম বেতনে এখানে ডেইলী বেসিকের চুক্তিতে কাজ করতাম। চাকরি হারিয়ে বর্তমানে সংসার চালাতে পথে বসতে হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে রোগীদের পাশে অক্লান্ত শ্রম দিয়েছি। সেই সময় কাজ করে পুরস্কৃত না করে আমাদের চাকুরিচ্যুত করে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের কথা একবারও ভাবেননি ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল। তিনি পরিচালককে বশে এনে কলকাঠি নাড়ছেন নিজের মত করে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডাবলু সরকারের অনুরোধ সহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রের সুপারিশকেও অগ্রাহ্য করেছেন রাসেল মাষ্টার। নিজেও দৈনিক মজুরি ভিত্তিক চাকুরি করে হাসপাতালের স্থায়ী কর্মচারি মোশাররফ মাষ্টারকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য অপমান করে থাকে সর্বদা।
এসম্পর্কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের নামে অনেক অভিযোগ আছে। বিনা কারণে তো বহিষ্কার করার প্রশ্ন উঠেনা।
তবে ভুক্তভোগীরা বলেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করা হয়নি।
সর্বশেষে সুষ্ঠু তদন্ত করে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেলের বহিঃষ্কার, অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করেন। সেই সাথে চাকরিচ্যুতদের পুনরায় চাকরিতে বহাল রাখার জন্য রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানান।
সেই সাথে তারা চাকুরি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।