শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলার জনপ্রিয় পুলিশ সুপার জনাব মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম একটি সাহসী ও মানবিক সম্মুখযোদ্ধা সৈনিকের নাম। যিনি নোয়াখালী পুলিশকে নিয়ে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। আশার প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছেন জনতার মনে। ভালোবাসায় কেঁড়ে নিয়েছেন নোয়াখালীবাসীর মন। যার আন্তরিকতা, দক্ষ ও সাহসিকতায় উজ্জ্বল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি। যা অতীতে ছিল না। সন্ত্রাস, জঙ্গি গোষ্ঠীর, মাদক কারবারি, চোর ডাকাত, ইভটিজিং, আধিপত্য বিস্তার নোয়াখালীবাসীর নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনের জন্য যেকোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ সব ধরনের সহিংস পরিস্থিতি মোকাবেলা ও জনসাধারণের জান-মালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত অপশক্তির এক আতঙ্কের নাম পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম আস্থা ও ভরসার এক বাতিঘর। আমজনতার মধ্যে এক সমীহের নাম যেন তিনি। কথায় কাজে অমিল খোঁজে পায়নি কেউ। কাজের
বলিষ্টতায় মানুষের মধ্যে আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন তিনি, তৃপ্তির গর্বিত আওয়াজ তাকে নিয়ে অনেকের মাঝে। সেবার এক অনন্য অইকন হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এলাকার সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা-সমাবেশ করে জঙ্গি ও গুজব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মাদক, সন্ত্রাস, ডাকাতসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে জেলা পুলিশের শীর্ষ এই অফিসারের কঠোর নির্দেশে।
শহীদুল ইসলাম, পিপিএম নোয়াখালী জেলায় যোগদানের দুই মাস পরের আলোকিত কর্মজীবন নিয়ে কিছু কথাঃ- যোগদানের পর থেকে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজে হাত দেন তিনি। পুলিশ লাইন্সের মেসের খাবারের মান উন্নয়ন, মানসম্মত কেন্টিন, পুলিশ লাইস্থ ভবন গুলো মেরামত কাজসহ পুলিশ লাইন্সে আলোকসজ্জা করে দৃষ্টিনন্দন করেন। পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম। পুলিশ সুপার নোয়াখালী জেলার সর্বজনের কাছে এক জননন্দিত নাম। ২০২১ সালের ১ আগস্ট তিনি নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নোয়াখালী জেলার জনগণের নিকট তিনি ঘনিষ্ট হয়ে যান তার কাজের মাধ্যমে। সহজ-সরল নিরীহ জনগণের পুলিশি সেবা প্রাপ্তির সহজলভ্যতা এখন অত্র জেলার মানুষের মুখে মুখে। তাঁর অসাম্য কর্মপ্রচেষ্টা দেশ ও জাতির কাছে দৃশ্যমান। অন্যদিকে অপরাধীরা এই সৎ পুলিশ অফিসারের নাম শুনলেই ভয়ে আতকে উঠে। বিভাগীয় কার্যক্রমের বিত্তের বাইরেও রয়েছে তাঁর নানাবিধ সামাজিক কর্মদ্যোগ। স্বভাবজাত সৎ, ভদ্র, নম্র ও ভালো চরিত্রগুণের অধিকারী পড়াশোনায় অসামান্য মেধার অধিকারী এসপি মো. শহীদুল ইসলাম তিনি ২৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় কৃতিত্ত্বের সাথে উত্তীর্ণ হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে সহকারী পুলিশ সুপার পদে চাকুরির জন্য মনোনীত করেন। এএসপি হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা রাজশাহীতে মৌলিক প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্বের কৃতিত্ব রাখেন।
এএসপি হিসাবে তিনি দিনাজপুর জেলা, র্যাব-২, র্যাব হেডকোয়ার্টার্স, ফরিদপুর জেলা এবং ডিএমপি, ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ অফিসার হিসেবে দায়িত্বে পালন করেছেন। এ্যাডিশনাল এসপি হিসাবে নারায়নগঞ্জ জেলা, হবিগঞ্জ জেলা এবং পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকায় অত্যন্ত সুনাম ও সাহসীকতার সহিত দায়ীত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণপূর্বক দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নোয়াখালী পুলিশ সুপার দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এআইজি(ইক্যুইপমেন্ট-২) এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরিচালক, অফিসার্স মেস, ঢাকার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত জীবনে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সহিত সম্পন্ন করেছেন। তিনি তার চাকুরী জিবনের সততা ও সাহসীকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে পিপিএম পুরুস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ৩ টি আইজিপি ব্যাজও প্রাপ্ত হন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ভ্রমণ করেছেন পুলিশ সুপার জনাব মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএস ডিগ্রী অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের গর্বিত জনক তার সহধর্মিণী জনাব সীমা পারভীন নিশী পুলিশ কে.জি স্কুল, নোয়াখালীতে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদুল ইসলাম, পিপিএম রংপুর জেলার শাপলা চত্তর গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।